• অঙ্ক পরীক্ষা ভালো না হওয়ায় মন খারাপের সঙ্গে ছিল ভয়ও, ঘর থেকে উদ্ধার মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর ঝুলন্ত দেহ
    এই সময় | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • মাধ্যমিকের অঙ্ক পরীক্ষা ভালো না হওয়ায় মন খারাপ ছিল ছাত্রের। পর দিন বাড়ি থেকে উদ্ধার হল ঝুলন্ত দেহ। মেদিনীপুরের পিংলা ব্লকের নাড়াথার ঘটনা। মৃত ওই ছাত্রের নাম শুভম দুয়ারি (১৬)। শনিবার ছিল মাধ্যমিকের অঙ্ক পরীক্ষা। পরীক্ষা ভালো হয়নি বাগনাবাড় হাইস্কুলের ছাত্র শুভমের। সূত্রের খবর, পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফিরে মন খারাপ করে বসেছিল সে। পরীক্ষা ভালো না হওয়ায় মা-বাবার সঙ্গে কিছুটা মন কষাকষিও হয়। এরই মধ্যে রবিবার সকালে ঘর থেকে শুভমের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।

    শুভমের পরীক্ষার সিট পড়েছিল সবং ব্লকের তিলন্তপুর হাইস্কুলে। শুভমের প্রতিবেশীরা জানান, মাধ্যমিকের অঙ্ক পরীক্ষার প্রশ্ন একটু ঘুরিয়ে এসেছে বলে জানিয়েছিল শুভম। ফলে প্রশ্নের উত্তর দেওয়া কিছুটা কঠিন হয়েছিল। বাড়িতে বলার পর এ নিয়ে মা, বাবার সঙ্গে একটু কথা কাটাকাটিও হয় বলে এলাকা সূত্রে খবর।

    রবিবার সকালে বাড়ির লোকজন বার বার ডাকাডাকির পরও দরজা খোলেনি শুভম। এর পরই দরজা ধাক্কা মেরে খুলে ভিতরে ঢুকে বাবা, মা দেখেন তাঁদের একমাত্র ছেলে ঝুলছে। এর পর প্রতিবেশি, পুলিশ সকলেই আসে। সকাল ১১টা নাগাদ দেহ উদ্ধার করে পিংলা থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

    ছেলেকে এ ভাবে দেখার পর, থেকে থেকেই জ্ঞান হারাচ্ছেন মা। বাবা পেশায় ব্যবসায়ী মধুসূদন দে-ও বাকশক্তি হারিয়েছেন। পিংলা থানার পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হবে। বাগনাবাড় হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক অজয়কুমার দেবনাথ তাঁর ছাত্রের এই খবরে শোকস্তব্ধ। তিনি বলেন, ‘শুভম স্কুলে প্রথম ২০-এর মধ্যে থাকত। শুনলাম, অঙ্ক পরীক্ষা আশানুরূপ হয়নি। তা নিয়ে মন খারাপ ছিল। তার উপর হয়তো বাবা-মা কিছু একটা বলেছেন। সহ্য না করতে পেরে এই কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলেছে।’

    মাধ্যমিকের জেলা মনিটরিং কমিটির আহ্বায়ক সুভাষ হাজরা জানান, সত্যিই এ খবর খুব বেদনাদায়ক। তবে অভিজিৎ দাস নামে পশ্চিম মেদিনীপুরের এক অঙ্কের শিক্ষক জানান, অঙ্কের প্রশ্ন যে খুব জটিল এসেছে তেমনটা নয়। তবে কিছু কিছু প্রশ্ন একটু ঘুরিয়ে এসেছে।

  • Link to this news (এই সময়)