ফের প্রাণঘাতী সেপটিক ট্যাঙ্ক। এ বার ঘটনাস্থল পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামের ভেকুটিয়া। সেখানে একটি বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করতে নেমে মৃত্যু হলো দু’জনের। রবিবার সকালে নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের ভেকুটিয়া গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার ভেকুটিয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। আরও দু’জন সেপটিক ট্যাঙ্কের বিষাক্ত গ্যাসে অসুস্থ হয়ে পড়েন।
জানা গিয়েছে, কানাই জানা নামে এক ব্যক্তির বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করতে নেমেছিলেন মৃত্যুঞ্জয় জানা। স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃত্যুঞ্জয় ট্যাঙ্কের ভিতর নেমেছিলেন। বাইরেই দাঁড়িয়ে ছিলেন মানস গিরি নামে একজন।
মৃত্যুঞ্জয় নামতেই বিষাক্ত গ্যাসে অসুস্থ হয়ে পড়েন। ক্রমেই শরীর ছেড়ে দেয় তাঁর। স্থানীয় সূত্রের খবর, তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন মানস। এমনকী বাড়ির মালিক কানাই জানা-সহ পরিবারের লোকজনও এই বিপদ দেখে এগিয়ে যান। অসুস্থ হয়ে পড়েন তাঁরাও। মৃত্যুঞ্জয়, মানস ঘটনাস্থলেই মারা যান। অন্য দিকে বাড়ির মালিক কানাই জানা ও তাঁর বৌমা নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
চলতি মাসের শুরুতেই কলকাতার অদূরে বানতলার চর্মনগরীর ভিতরে একটি ম্যানহোল পরিষ্কার করতে নেমে ৩ জনের মৃত্যু হয়। অথচ এ ভাবে ম্যানুয়াল স্ক্যাভেঞ্জিং বেআইনি। আইন মোতাবেক, ম্যানহোলে মানুষ নামিয়ে সাফাইয়ের কাজ করানো যায় না। যদিও বাস্তবের ছবিটা একেবারেই অন্য। অহরহ বিষাক্ত গ্যাসের মধ্যে শ্রমিক নামিয়ে বর্জ্য পরিষ্কারের ঘটনা ঘটে।
নন্দীগ্রাম থানার আইসি প্রসেনজিৎ দত্ত জানান, রবিবারের ঘটনায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনার মামলা রুজু হয়েছে। নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অসিতকুমার দেওয়ান জানান, তাঁদের কাছেও খবর এসেছে। কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল তা দেখা হচ্ছে।