নয়াদিল্লি স্টেশনে পদপিষ্টের ঘটনায় প্রাণ গিয়েছে ১৮ জনের। দায় কার? চলছে কাঁটাছেড়া। এর মাঝেই রবিবার বিতর্কিত মন্তব্য করলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। ‘মানুষের ধৈর্য কম’ হওয়ার কারণেই এই ধরনের পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা ঘটছে বলে দাবি তাঁর। দিলীপের এই মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
রবিবার বর্ধমানের সাঁই স্টেডিয়ামের মাঠে আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতের সভায় যোগ দেন দিলীপ। সেখানেই দিলীপ বলেন, ‘আমাদের দেশে যেখানেই বড় জমায়েত হয়, সেখানে দুর্ঘটনা ঘটে যায়। মানুষের ধৈর্য কম, কোটি কোটি মানুষ বেরিয়ে পড়েছে কুম্ভের মেলার উদ্দেশে।’
দিল্লির ঘটনার পর শুরু থেকেই পদপিষ্ট হওয়ার কারণ নিয়ে ভিন্ন মত দিচ্ছে দিল্লি পুলিশ ও রেল। প্রয়াগরাজে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনার ১৭ দিনের মাথায় ফের নিউ দিল্লি স্টেশনে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনায় কেন্দ্রীয় সরকারকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে বিরোধীরা। তবে দিলীপ বলেন, ‘সরকারের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও সর্তক হয়ে চলা উচিত।’ দিলীপের সংযোজন, ‘মানুষের মধ্যে ধৈর্য খুবই কম, নিয়ম মানতে চায় না তারা। পুলিশ চাইলেও পুণ্যার্থীদের উপর লাঠি চালাতে পারে না। কুম্ভতেও ব্যারিকেড ভেঙে ঢুকে যাচ্ছে বহু মানুষ। কিছু অঘটন ঘটেছে, এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক।’
দিলীপের এই মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করা হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে। তৃণমূলের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, ‘মহাকুম্ভে কোটি কোটি মানুষ যাবে, এটা সকলের জানা। ওঁর জানা উচিত, কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে এই খবর থাকলেও সরকার কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। নিউ দিল্লি রেলস্টেশনে ১৮ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে শুধুমাত্র রেল দপ্তরের গাফিলতি ।’ উল্লেখ্য, কুম্ভের তীর্থযাত্রীদের নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত ছিল বলে কেন্দ্রকে বিঁধে মন্তব্য করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।