• ‘যে প্রতারণার ভয়ে কোনও দিন ATM কার্ড পর্যন্ত ব্যবহার করিনি, তারই শিকার হলাম’, কপালে হাত বৃদ্ধের
    এই সময় | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • অনলাইন প্রতারণার ভয়ে এটিএম কার্ড ব্যবহার করেন না, ইউপিআই অ্যাকাউন্টও নেই। সব সময় চেকের মাধ্যমে ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তোলেন। অথচ সেই অনলাইন প্রতারণার শিকার হতে হলো শিলিগুড়ির আশ্রমপাড়ার এক বৃদ্ধকে। পেশায় পুরোহিত ওই বৃদ্ধ মোবাইল ফোন হারিয়ে বড়সড় প্রতারণার শিকার হলেন। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে খোয়ালেন ২ লক্ষ ২২ হাজার ৮০০ টাকা। অভিযোগকারী তাপস চক্রবর্তীর মোবাইল ফোন চুরির পর অনলাইন পেমেন্ট অ্যাপ ব্যবহার করে টাকা লোপাট করা হয়েছে। ফোনের নম্বর দিয়ে ইউপিআই আইডি তৈরি করে আট দফায় তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলা হয়েছে বলে অভিযোগ।

    পুলিশ সূত্রে খবর, এই টাকার একটা অংশ গিয়েছে শিলিগুড়িরই এক ব্যক্তির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। বাকি টাকা গিয়েছে মহারাষ্ট্রের এক ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে। আপাতত শিলিগুড়ি সাইবার অপরাধ দমন থানায় অভিযোগ জানানোর পাশাপাশি ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট ব্লক করার আবেদনও জানিয়ে এসেছেন তাপস। অভিযোগের ভিত্তিতে সাইবার অপরাধ দমন থানার পুলিশ ঘটনার তদন্তও শুরু করেছে।

    তাপস চক্রবর্তী পুরোহিত। তিনি শিলিগুড়ির এয়ারভিউ মোড় সংলগ্ন একটি মন্দিরে পুজো করেন। গত ১১ ফেব্রুয়ারি পুজো করে ফেরার সময় মোবাইল ফোনটি হারিয়ে ফেলেন তিনি। প্রথমে প্রধাননগর থানায় ফোন চুরির অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। সিমকার্ড বন্ধ করার জন্য টেলিকম সংস্থাতেও যান। তাঁকে এক দিন বাদে আসতে বলা হয়। এক দিন পর গিয়ে সিমকার্ড তুলতেই মেসেজ দেখে চোখ কপালে ওঠে তাঁর।

    দেখেন তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফাঁকা। এর পরই সাইবার থানার দ্বারস্থ হন তিনি। সেখানে অভিযোগ করেই ব্যাঙ্কে গিয়ে অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করান। তাপসের বক্তব্য, ‘যে প্রতারণার ভয়ে কোনও দিনও এটিএম কার্ড পর্যন্ত ব্যবহার করিনি, সেই প্রতারণারই শিকার হলাম। আমি তো বুঝতেই পারলাম না কী ভাবে কোন দিক দিয়ে সব টাকা তুলে নিল।’

    আরও একটি ঘটনা ঘটেছে প্রধাননগরে। ভুয়ো টোল ফ্রি নম্বরের ফাঁদে ফেলে টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন এক মহিলা। বেসরকারি এক ব্যাঙ্কের এটিএম কাউন্টারে গিয়েছিলেন টাকা তুলতে। কার্ড সোয়াইপ করার পরই কার্ডটি মেশিনে আটকে যায়। সামনে টোল ফ্রি নম্বর লেখা ছিল। সেই নম্বরে ফোন করতেই বলা হয় ব্যাঙ্কে যোগাযোগ করতে। তড়িঘড়ি মহিলা ব্যাঙ্কে গেলে ফের যে ব্যাঙ্কের এটিএম কার্ড, সেই কাউন্টারে যেতে বলা হয়।

    সেখানে গিয়ে কাজ না হওয়ায় ফেরত যান প্রথম এটিএম কাউন্টারে। গিয়ে দেখেন, কার্ডও নেই, ২০ হাজার টাকা গায়েব। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, হেল্পলাইন নম্বর লেখা কাগজও উধাও। এর পরই খটকা লাগে ওই মহিলার। সাইবার থানায় ছোটেন তাঁর স্বামী প্রশান্ত চক্রবর্তী। প্রশান্ত বলেন, তাঁদের মনে হচ্ছে, টোল ফ্রি নম্বরই টোপ। তা ব্যবহার করেই প্রতারকরা বিভ্রান্ত করে টাকা হাতিয়েছে।

  • Link to this news (এই সময়)