বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস! বনগাঁয় কাউন্সিলরের বাড়িতে চড়াও ‘প্রতারিত’ মহিলা
প্রতিদিন | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগ। বিয়ের দাবিতে নির্দল কাউন্সিলরের বাড়ির সামনে চড়াও হয়ে প্রতিবাদ মহিলার। বনগাঁ থানার মিলনপল্লি পার্কিং এলাকার ঘটনায় জোর শোরগোল। ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল কাউন্সিলর চিরঞ্জিৎ বিশ্বাসের বাড়ির সামনে শনিবার রাত এবং রবিবার সকাল থেকে দীর্ঘক্ষণ ওই মহিলাকে প্রতিবাদ করতে দেখা যায়। কাউন্সিলরের অবশ্য খোঁজ পাওয়া যায়নি। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে রবিবার দুপুরে ওই মহিলাকে সরিয়ে দেয়।
ওই মহিলা বিবাহিত। স্বামীর সঙ্গে অশান্তির জেরে এক সন্তানকে নিয়ে ভাড়া বাড়িতে থাকেন। সেই সময় কাউন্সিলর চিরঞ্জিৎ বিশ্বাসের সঙ্গে আলাপ হয়। কাউন্সিলর তাঁকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেন বলেই অভিযোগ মহিলার। ওই মহিলার আরও দাবি, বিয়ের প্রতিশ্রুতি একাধিকবার যৌন সম্পর্ক হয় তাঁদের। যদিও পরে বিয়ে করতে অস্বীকার করেন কাউন্সিলর। ওই মহিলাকে গালিগালাজ করেন বলেও অভিযোগ। এমনকী তাঁকে ফোনে প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয়।
সুবিচারের দাবিতে শনিবার রাত এবং রবিবার সকালে কাউন্সিলরের বাড়ির সামনে হাজির হন মহিলা। চিৎকার চেঁচামেচি করতে শুরু করেন। তা শুনে এলাকার বহু মানুষ জড়ো হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে বনগাঁ থানার পুলিশ। মহিলাকে কাউন্সিলের বাড়ির সামনে থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। কাউন্সিলর চিরঞ্জিৎ বিশ্বাস অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, “ওই মহিলা বিবাহিত। তাঁর স্বামীকে চিনি। এখনও বিবাহবিচ্ছেদ হয়নি। পারিবারিক অশান্তিতে ওঁদের পাশে ছিলাম। এখন ব্ল্যাকমেল করার চেষ্টা করছে।”
মহিলার বিরুদ্ধে তিনি থানায় অভিযোগ দায়ের করবেন বলেও জানান তিনি। এই ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিজেপি নেতা দেবদাস মণ্ডল বলেন, “ওই কাউন্সিলরের মাথায় তৃণমূলের বড় নেতাদের হাত রয়েছে। সে কারণে একটার পর এক অপরাধ করছেন। পুলিশ কাউন্সিলরকে গ্রেপ্তার করছে না। মহিলার সঙ্গে সহবাস করেছেন। পুলিশে অভিযোগ দায়েরের পরেও ব্যবস্থা নিচ্ছে না।” পালটা আবার কাউন্সিলর চিরঞ্জিৎ বিশ্বাস বলেন, “আমি নির্দল কাউন্সিলর। বিজেপি নেতা চক্রান্ত করে আমাকে তৃণমূলের সঙ্গে জড়াচ্ছেন। বিজেপি নেতা ওই মহিলাকে দিয়ে চক্রান্ত করাচ্ছেন।”