• পয়লা মার্চ থেকে গোটা রাজ্যেই খুলছে হিমঘর
    বর্তমান | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • রঞ্জুগোপাল মুখোপাধ্যায়, বাঁকুড়া: আগামী ১ মার্চ থেকে রাজ্যজুড়ে হিমঘর খুলে যাচ্ছে। ওইদিন থেকে হিমঘরে আলু মজুতের কাজ শুরু হবে। গতবারের থেকে এবার চাষিরা বেশি আলু হিমঘরে মজুত করতে পারবেন বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। ফলে চাষিদের সুরাহা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। বাঁকুড়ার জেলাশাসক সিয়াদ এন বলেন, ১ মার্চ থেকে জেলার হিমঘর খুলে যাচ্ছে। ওইদিন থেকে চাষিরা হিমঘরে আলু মজুত করতে পারবেন।


    বাঁকুড়ার উপ কৃষি অধিকর্তা দেবকুমার সরকার বলেন, গতবার চাষিরা হিমঘরের মাত্র ২০ শতাংশ জায়গায় আলু মজুত করতে পারতেন। এবার তা বৃদ্ধি করে ৩০ শতাংশ করা হয়েছে। একইরকমভাবে চাষিরা আগে ৫০ বস্তা আলু মজুত করতে পারতেন। ওই পরিমাণও বেড়ে ৭০ বস্তা হয়েছে। জেলাশাসকের বিশেষ কোটায় হিমঘরের ৩০ শতাংশ জায়গাও চাষিদের জন্য বরাদ্দ করা হবে। দপ্তরের প্রধান সচিবের নির্দেশমতো বিষয়টি নিয়ে আমরা প্রচার শুরু করেছি। জেলা, মহকুমা ও ব্লক প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলির সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করা হচ্ছে। জেলার মোট ৪৫টি হিমঘরে আলু মজুত করার সুযোগ চাষিরা পাবেন। 


    রাজ্য হিমঘর অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুনীল রানা বলেন, রাজ্যজুড়ে থাকা ৪৭০টি হিমঘরে আমরা আলু মজুত করব। তবে সরকার আমাদের সঙ্গে আলোচনা না করেই ১০ শতাংশ বেশি জায়গা চাষিদের জন্য বরাদ্দ করেছে। আমরা হিমঘর খোলার আগেই সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চাই। চাষিদের পাশাপাশি আলু ব্যবসায়ী সহ অন্যান্যদের নিয়েও আমাদের চলতে হয়। এমনিতে এরাজ্যে কুইন্টালপিছু আলু রাখার ভাড়া অনেক কম। তার ফলে হিমঘরগুলি রুগ্ন হয়ে পড়েছে। সরকারি সিদ্ধান্ত আমাদের উপর জোর করে চাপিয়ে দিলে সমস্যা আরও বাড়বে।


    বড়জোড়ার আলু চাষি মিলন সরকার, ওন্দার রবি মণ্ডল বলেন, এবার আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। সরকার আমাদের জন্য হিমঘরে বাড়তি জায়গা বরাদ্দ করায় চাষিরা উপকৃত হবে।
  • Link to this news (বর্তমান)