• বাংলার বাড়িতে নাম ওঠেনি, বিবেকানন্দপল্লিতে বিক্ষোভ
    বর্তমান | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: আবাসের ঘর না পেয়ে রবিবার বিক্ষোভ দেখালেন জলপাইগুড়ি সদরের খড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বিবেকানন্দপল্লির বাসিন্দারা। এখানে তিনটি বুথ। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যরা বিজেপির। সেকারণে ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পে একটিও ঘর দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। ঘর না পেয়ে অসহায় অবস্থার মধ্যে দিয়ে দিন কাটাচ্ছে বহু মানুষ। এদিন পোস্টার হাতে গ্রামেই বিক্ষোভ দেখান বঞ্চিতরা। 


    এদিকে, পঞ্চায়েত সূত্রে খবর, ২০১৮ সালে আবাসের ঘরের জন্য যখন সমীক্ষার কাজ হয়েছিল, সেসময় বিডিও অফিস থেকে পাঠানো এককর্মীর গাফিলতিতে নাকি বেশিরভাগ সমীক্ষা রিপোর্ট আপলোড হয়নি। তারই জেরে বহু প্রকৃত প্রাপকের নাম বাদ পড়েছে। এনিয়ে তদন্তের দাবি তুলেছেন স্থানীয় বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্য জয়া সরকার বিশ্বাস। 


    যদিও কোনও কর্মীর গাফিলতিতে তথ্য আপলোড না হওয়ার বিষয়টি জানা নেই বলে দাবি জলপাইগুড়ি সদরের বিডিও মিহির কর্মকারের। বলেন, বিষয়টি জানি না। কেউ এনিয়ে আমার কাছে এতদিনে কোনও অভিযোগও করেননি। 


    মালা রায়, বিশ্বজিৎ চক্রবর্তীর মতো যাঁরা বিক্ষোভে শামিল হন, তাঁদের কারও টিনের ভাঙা ঘর। কারও সেটুকুও নেই। পলিথিনের ছাউনির নীচে বাস। উজ্জ্বল বাড়ইয়ের দাবি, ঘরের বিষয়ে পঞ্চায়েত অফিসে একাধিকবার জানানো হয়েছে। কিন্তু লাভ হয়নি। 


    পঞ্চায়েত সদস্য জয়া সরকার বিশ্বাস বলেন, এলাকায় বহু মানুষ রয়েছে, যারা অত্যন্ত অসহায় অবস্থার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। অথচ আবাস তালিকায় নাম ওঠেনি। জানতে চাওয়া হলে পঞ্চায়েতের প্রধান, উপ প্রধান বলছেন, ২০১৮ সালে সমীক্ষার সময় যে কর্মীর উপর তথ্য আপলোডের দায়িত্ব ছিল, তিনি নাকি তা ঠিকমতো করেননি। আমাদের বক্তব্য, একজনের উপর দায় চাপিয়ে ঘটনাকে হালকা করে দেখলে চলবে না। এনিয়ে তদন্ত চাই। 


    খড়িয়া পঞ্চায়েতের উপ প্রধান তৃণমূলের মনোজ ঘোষ বলেন, ২০১৮ সালে সমীক্ষার সময় বিডিও অফিস থেকে এককর্মীকে পাঠানো হয়েছিল। তিনি নাকি সব তথ্য ঠিকমতো আপলোড করেননি। জানতে পেরে ২০২৩ সালে পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনের পর ওই কর্মীর বিরুদ্ধে বিডিও অফিসে রিপোর্ট পাঠাই। তারপরই তাঁকে পঞ্চায়েত থেকে তুলে নেওয়া হয়। আমরা চাই, প্রকৃত গরিব মানুষ সরকারি ঘর পান।  নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)