সংবাদদাতা, ধূপগুড়ি: ময়নাগুড়ি থেকে ধূপগুড়ির মাগুরমারিতে নাবালিকার বিয়ে করাতে এসেছিলেন দুই গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য। ১০ টাকার স্ট্যাম্প পেপারের রীতিমতো সইসাবুদ করে নাবালিকাকে বিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে গাড়িতে করে তাঁরা ময়নাগুড়ির দিকে রওনা হন। এমন সময় নাবালিকা সহ তার প্রেমিকের পরিবারের সদস্যদের পুলিস কার্যত ফিল্মি কায়দায় আটক করে। এদিকে, পুলিস ভ্যান দেখে গাড়ি থেকে নেমে চম্পট দেয় তৃণমূল কংগ্রেসের ওই দুই পঞ্চায়েত সদস্য। এমনকী তাঁরা মোবাইল ফোনও সুইচঅফ করে দেন। পুলিস তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রবিবার চাঞ্চল্য ছড়ায় ধূপগুড়িতে।
ময়নাগুড়ির উত্তর খাগড়াবাড়ির এক যুবকের সঙ্গে মাগুরমারি-১ পঞ্চায়েতের এক নাবালিকার প্রেমের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। শনিবার ওই যুবক নাবালিকার বাড়িতে আসে। রবিবার ময়নাগুড়ির দুই পঞ্চায়েত সদস্য দলবল নিয়ে নাবালিকার বাড়িতে হাজির হন। এরপর স্থানীয়দের নিয়ে বৈঠকে বসেন। তাঁরা সিদ্ধান্ত নেন নাবালিকাকে ছেলের বাড়িতে নিয়ে যাবেন এবং ছেলের বাড়িতেই নাবালিকা থাকবে। স্ট্যাম্প পেপারে তারা সইও করিয়ে নেন। যদিও তাঁরা জানান, মেয়ে সাবালক হলে বিয়ে দেবেন। এটা সম্পূর্ণ অবৈধ বলে দাবি করেন মাগুরমারি-১ পঞ্চায়েত প্রধান বর্ণশ্রী রায়। তিনি বলেন, পুলিসকে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলেছি। পুলিস বিষয়টি জানতে পেরে ধূপগুড়ির গিলান্ডি বাজারে মেয়েকে তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় তাদের গাড়িটি আটক করে। তখনই সুযোগ বুঝে পালিয়ে যান দুই পঞ্চায়েত সদস্য। খাগড়াবাড়ি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সীমা রায় বলেন, ওই দুই পঞ্চায়েত সদস্য বাধ্য হয়ে ওখানে গিয়েছিলেন। এলাকাবাসী তাঁদের উপর চড়াও হয়। বাধ্য হয়ে দুই পঞ্চায়েত সদস্য নাবালিকাকে ময়নাগুড়ি নিয়ে আসার চেষ্টা করেন। ময়নাগুড়ি নিয়ে এলে আমরা তাদের থানায় হস্তান্তর করতাম। ধূপগুড়ি থানার পুলিস জানিয়েছে, নাবালিকাকে থানায় আনা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। মেয়ের বাবা বলেন, মেয়ে সাবালক হলেই আমরা বিয়ে দিতাম।