স্কুটারে ট্রাকের ধাক্কা, মৃত্যু দম্পতি ও কিশোরী কন্যার
বর্তমান | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, বিধাননগর: ফের ভয়াবহ পথদুর্ঘটনা। লরির ধাক্কায় মৃত্যু হল একই পরিবারের তিনজনের। রবিবার রাতে বিমানবন্দর ৩ নং গেট এলাকায়, বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে থেকে ফ্লাইওভারে ওঠার মুখে এই দুর্ঘটনা ঘটে। স্কুটারে ছিলেন বাবা, মা এবং তাঁদের সন্তান। তিনজনকেই পিষে দেয় ঘাতক লরি। চোখের সামনে এই ভয়াবহ ও মর্মান্তিক দৃশ্য দেখে শিউরে উঠছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। জল দিয়ে ধুতে হয়েছে রক্তে ভেসে যাওয়া পিচের রাস্তা। ঘটনার পরই অবশ্য পুলিস লরি ও সেটির চালককে আটক করেছে। এমন ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। দুর্ঘটনার পরপর মৃতদের নাম ও পরিচয় পুলিস জানতে পারেনি। অজ্ঞাতপরিচয় হিসেবেই তাঁদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। কিছুক্ষণ পর পুলিস তাঁদের পরিচয় জানতে পারে। তারা জানিয়েছে, মৃতদের নাম জয়দীপ দাশগুপ্ত (৫২), নীপা দাশগুপ্ত (৪৬) ও তাঁদের মেয়ে সৃজনী দাশগুপ্ত (১৪)। স্থানীয় বিশরপাড়া এলাকায় তাঁদের বাড়ি।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি স্কুটারে চেপে তাঁরা ডানলপের দিক থেকে বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে ধরে আসছিলেন। এক্সপ্রেসওয়ের যেখানে বারাসতগামী রাস্তা চলে গিয়েছে বাঁদিকে এবং এয়ারপোর্ট যাওয়ার জন্য ফ্লাইওভার শুরু হচ্ছে, ঠিক সেই জায়গাতেই রাত পৌনে ৮টা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটে। তাঁদের স্কুটার স্বাভাবিক গতিতেই এগচ্ছিল। পিছন থেকে দ্রুত গতিতে ছুটে আসছিল একটি লরি। আচমকা সেই লরিটি স্কুটারের পিছনে ধাক্কা দেয়। তিনজনই ছিটকে গিয়ে পড়েন রাস্তার উপরেই। তাঁদের উপর দিয়েই চলে যায় লরিটি। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, গতি বেশি থাকার জন্য চালক লরিটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেননি। ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে ছুটে আসে পুলিস। হাতেনাতে পাকড়াও করা হয় লরিচালককে। রক্তাক্ত অবস্থায় তিনজনকে উদ্ধার করে বারাসত জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন।
অন্যদিকে, গত ২৩ জানুয়ারি নিউটাউনে বাইক দুর্ঘটনায় মৃত তরুণীর পরিবার পুলিসের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন। স্রেফ দুর্ঘটনা নাকি এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে, তদন্ত করে সেই সত্য সামনে আনার দাবি করেছে তারা। প্রসঙ্গত, ২৩ জানুয়ারি রাতে দু’জন বন্ধুর সঙ্গে বাইকে বেরিয়েছিলেন নদীয়ার ম্যাকনালি দাস (২৮)। নিউটাউনের সাপুরজি আবাসনের ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন। রাতে ফ্ল্যাটে খাওয়াদাওয়ার পর একটি বাইকে চেপে বেরিয়েছিলেন তিনি। সাপুরজি মোড় থেকে সুখবৃষ্টি আবাসনের দিকে যাওয়ার সময় ব্রিজের ওপর বাইকটি ডিভাইডারে ধাক্কা মারে। তরুণী পিছনে বসেছিলেন। ছিটকে পড়ে তাঁর মাথায় গুরুতর আঘাত লাগে। কারও মাথায় হেলমেট ছিল না। তরুণীর মৃত্যু হলেও বাকি দু’জন সেই ঘটনায় প্রাণে বেঁচে যান।