• ৫০ কাঠার জলাশয় ভরাটের চেষ্টা,  পুকুর নয় নিচু শালি জমি, দাবি কাউন্সিলারের
    বর্তমান | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • সংবাদদাতা, বজবজ: মহেশতলা পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের গোপালপুর কাঞ্চননগর এলাকায় প্রায় ৫০ কাঠার মতো জলাশয় ভরাটের চেষ্টা চলছে। তা নিয়ে শোরগোল পড়েছে এলাকায়। এই তল্লাটে পুকুর ও নিচু জলাজমি আগেই ভরাট করে অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠেছে ঘর, বাড়ি। ফলে নিকাশির জল বেরনোর পথ বন্ধ। যে কারণে ফি বর্ষায় ছ’মাসেরও বেশি সময় ধরে জল জমে থাকে রাস্তা, বাড়ির উঠোনে। স্থানীয় বাসিন্দারা গত পাঁচ বছর ধরে মহেশতলা পুরসভায় গিয়ে সমস্যার কথা তুলে ধরলেও আর্থিক সঙ্কটের কথা বলে দায় এড়াচ্ছেন পুরকর্তারা। ফলে ভোগান্তির শেষ নেই বাসিন্দাদের।


    গোপালপুর কাঞ্চননগরের এই বিশাল জলাশয় ভরাট হয়ে গেলে এলাকায় জল-যন্ত্রণা আরও কয়েকগুণ বেড়ে যাবে। এমনটাই দাবি করেছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার যুব কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক গোপাল মণ্ডল। তিনি বলেন, কেউ বাড়ির জমি উঁচু করার জন্য রাবিশ ফেললে সঙ্গে সঙ্গে পুলিস, পুরসভার লোকজন এসে কাজ আটকে দেন। অথচ গত কয়েকদিন ধরে ওই জলাশয়ে ১০০ গাড়ির বেশি রাবিশ ফেলা হলেও পুলিস প্রশাসন বা পুরসভার কেউ এসে বাধা দেননি। এই পুকুর ভরাটের পিছনে প্রোমোটারদের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। সিপিএমের বর্ষীয়ান নেতা সুনীল মণ্ডল বলেন, এ নিয়ে অনেকদিন ধরেই প্রতিবাদ করছি। আগেও কাঞ্চনগরের জলাশয়টি ভরাটের চেষ্টা হয়েছিল। স্থানীয় মানুষের বাধায় তা হয়নি। এটা বুজিয়ে দেওয়া হলে বর্ষায় গোটা এলাকা ভাসবে।


    ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার গৌরী নস্কর এ নিয়ে পুর চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এখন কাজ বন্ধ আছে। পুরসভা তদন্ত করে গিয়েছে। এই জলাশয় তিনজনের রায়তি সম্পত্তি। আসলে নিচু এলাকা বলে জল জমে রয়েছে। কাগজে কলমে এটি জলাশয় নয়। রেকর্ড বলছে শালি জমি। ওই জমির মালিক বাড়ি করতে চান বলে রাবিশ ফেলে রাস্তা করছিলেন। বিষয়টি পুরসভা দেখছে। আইন মেনেই পদক্ষেপ করা হবে।
  • Link to this news (বর্তমান)