মমতা ও অভিষেকের ছবি দিয়ে লটারির কুপন, কয়েক লক্ষের প্রতারণা কুলপিতে
বর্তমান | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
সংবাদদাতা, কাকদ্বীপ: খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবিকে হাতিয়ার করে প্রতারণার ছক সাজিয়েছিল কুলপির যুবক। এই নয়া কৌশল খাটিয়ে সে লক্ষ লক্ষ টাকার লটারির কুপন বিক্রি করলেও শেষ রক্ষা হল না। ধরা পড়ল পুলিসের হাতে। অভিযুক্তের নাম চন্দন দাস। তদন্তকারীদের দাবি, তৃণমূলের দুই শীর্ষ নেতা-নেত্রীর ছবি দিয়ে কুপন ছাপিয়ে বিক্রি করত সে। রবিবার তাকে ডায়মন্ডহারবার আদালতে তোলা হলে বিচারক সাতদিনের পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দেন। যে ছাপাখানায় ওই কুপন ছাপানো হয়েছিল, তার মালিককেও আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
তদন্তে নেমে পুলিস জানতে পেরেছে, চন্দন তৃণমূলের বিভিন্ন পার্টি অফিসে গিয়ে দলের মুখপত্র পৌঁছে দিত। সেই সুবাদে দলের বিভিন্ন নেতা-নেত্রী তাকে চিনতেন। লটারির টিকিটের মতো দেখতে কুপন ছাপিয়েছিল সে। তাতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ছবি ছাপানো ছিল। কুপনে বিক্রয়মূল্য কিছু লেখা নেই। চন্দন ওই কুপন বিক্রি করে ব্যক্তি অনুযায়ী টাকা নিত বলে অভিযোগ। ওই লটারির কুপনে পুরস্কার হিসেবে গাড়ি সহ দামি দামি সামগ্রীর ছবি রয়েছে। আসলে বিশ্বাসযোগ্যতা গড়ে তুলতেই এই কৌশল নিয়েছিল বলে মনে করছে পুলিস। প্রলোভনে পা দিয়ে অনেকেই সেই কুপন কিনতেন। জানা গিয়েছে, কাউকে দু’হাজার, কাউকে চার হাজার টাকায় ওই কুপন বিক্রি করেছে সে।
কিছুদিন আগে কুলপির বিধায়ক যোগরঞ্জন হালদারের নিরাপত্তারক্ষী তুফান হালদার চন্দনের কাছ থেকে চার হাজার টাকার বিনিময়ে লটারির কুপন কিনেছিলেন। পরে সন্দেহ হওয়ায় তিনি কুলপি থানায় প্রতারণার লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিস তদন্তে নেমে শনিবার রাতে চন্দনকে ডায়মন্ডহারবার থেকে গ্রেপ্তার করে। তার বাড়ি নোদাখালি থানার বাওয়ালি এলাকায়।
তৃণমূলের কেউই এ নিয়ে মুখ খুলতে চাননি। বিধায়ক যোগরঞ্জন হালদার বলেন, এই বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানি না। পুলিস ঘটনার তদন্ত করছে। সুন্দরবন পুলিস জেলার এক কর্তা বলেন, প্রতারণার নয়া কৌশল নিয়েছিল অভিযুক্ত যুবক। কতজনের থেকে কত টাকা সে তুলেছে, সেই তালিকা তৈরি করা হবে।