কয়েকদিন ধরেই বন্ধ ছিল ঘরের দরজা। রবিবার দুপুরে দুর্গন্ধ ছড়াতেই স্থানীয় বাসিন্দারা ভেঙে ফেলেন ওই দরজা। ঘরে ঢুকেই তাঁরা দেখতে পান বীভৎস দৃশ্য। তাঁরা দেখেন, বিছানায় পড়ে আছে পম্পা নন্দী (৫০)-র দেহ। আর, পাশের ঘরে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় শুয়ে আছেন তাঁর ছেলে সুরজ নন্দী (২৫)। পরে পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। সুরজকে হাওড়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ। হাওড়ার দাসনগর থানার এই ঘটনায় এলাকার অনেকেই রবিনসন স্ট্রিট কাণ্ডের ছায়া দেখতে পাচ্ছেন। কী কারণে ওই মহিলার মৃত্যু হয়ে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
দাসনগর থানার অন্তর্গত বালটিকুরী খালধার পাড়ায় ছেলের সঙ্গে থাকতেন পম্পা নন্দী । বছর তিনেক আগে কোভিডের সময় মারা যান পম্পা নন্দীর স্বামী। তারপর ছেলেকে নিয়ে ওই বাড়িতে থাকতেন তিনি। সুরজ আগে অনলাইনে জিনিসপত্র ডেলিভারির ব্যবসা করলেও ইদানিং কোনও কাজ করছিলেন না। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন , কিছুটা মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছিলেন সুরজ।
শুধু তাই নয় মা এবং ছেলেকে পাড়ায় বিশেষ দেখা যেত না। এমনকি প্রতিবেশীদের সঙ্গেও কথা বলতেন না তাঁরা। দিন সাতেক আগে সুরজকে শেষবারের মতো পাড়ায় দেখা গেছিল।
জানা গিয়েছে, রবিবার দুপুরে ওই বাড়ি থেকে প্রচন্ড দুর্গন্ধ বের হতে থাকে। তখনই প্রতিবেশীদের সন্দেহ হয়। প্রতিবেশীরা স্থানীয় ক্লাবে খবর দেয়। ওই ক্লাবের সদস্যরা এসে তালা ভেঙে ঘরে ঢুকে দেখেন বিছানা ওপর পড়ে আছে পম্পার দেহ। পরে পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারণা ওই মহিলা অন্তত ৫ দিন আগে মারা গিয়েছেন। তাঁর শরীরে পচন ধরেছে। কী কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে তা ময়নাতদন্তের পরেই জানা যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পাশের ঘর থেকে অসুস্থ অবস্থায় সুরজকে উদ্ধার করে পুলিশ তাঁকে হাওড়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি করেছে।