এই সময়: প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের আদালতে জমা দেওয়া নথি প্রকাশ্যে আসতেই বঙ্গ–বিজেপির অন্দরে শুরু হয়ে গিয়েছে আকচাআকচি। পরিস্থিতি সামাল দিতে আসরে নামতে হয়েছে রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে।
আদালতে সিবিআইয়ের পেশ করা নথিতে সুপারিশকারীদের তালিকায় আরও অনেক ‘প্রভাবশালী’র সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী, বিজেপি নেত্রী ভারতী ঘোষের নামও আছে। এরপরই পদ্মে শুরু হয় নানা রকম জল্পনা। তাতে নতুন মাত্রা যোগ করেন রাজ্য বিজেপির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়।
ফেসবুকে তিনি সিবিআইয়ের নথিতে থাকা সব সুপারিশকারীর নামের তালিকা পোস্ট করেন। তার পরে এক জায়গায় তিনি লেখেন, ‘২০১৬ সাল। সকলেই তৃণমূল সম্পদ। কেউ ছাড় পাবেন না।’ এরপরই জগন্নাথকে আইনি নোটিস পাঠান দিব্যেন্দু। পরে অবশ্য জগন্নাথ পোস্টটি মুছে ফেলেন।
কিন্তু তাতেও বিতর্ক থামেনি বিজেপিতে। বিষয়টি নিয়ে যে দলে সমস্যা তৈরি হয়েছে, তা রবিবার স্বীকার করে নিয়েছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। রবিবার তিনি এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কোনও বিষয় নেই। তবে কিছু একটা সমস্যা হয়েছে। কী সমস্যা, সেটা আমরা দেখছি। দলের মধ্যে আলোচনা চলছে। ঠিক হয়ে যাবে।’
তাঁর সংযোজন, ‘আমি দিব্যেন্দু অধিকারী, জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় সবার সঙ্গেই কথা বলেছি।’ এ দিন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘তিনদিন ধরে এ সব নিয়ে অনেক চর্চা হয়েছে। রাজ্যে অনেক জ্বলন্ত ইস্যু রয়েছে। সে সব নিয়ে চর্চা প্রয়োজন। আমি এ নিয়ে কিছু বলব না।’