বাড়ির ভিত তৈরির জন্য মাটি খুঁড়তেই শাবল আটকে যায় লোহার বাক্সে! কর্মীরাই চিৎকার করে ওঠেন, ‘সিন্দুক, সিন্দুক…’। এলাকাবাসীদের অনেকেই তখন তাঁদের চিন্তা-ভাবনায় ‘ কাকাবাবু ও সিন্দুক রহস্য’ পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছেন। শেষমেষ সিন্দুক থেকে মিলল…
ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর থানার গোপীগঞ্জ এলাকার। সেখানে মাটির নীচ থেকে উদ্ধার হয় কয়েকশো বছরের প্রাচীন লোহার সিন্দুক। ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায়। রবিবার দাসপুর ২ ব্লকের গোপীগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা মহাদেব সামন্ত নতুন বাড়ি তৈরি করার জন্য মাটি খুঁড়তে শ্রমিক লাগিয়েছিলেন। সেই সময়েই এই সিন্দুক উদ্ধার হয়। লোহার এই বাক্সে কী রয়েছে, তা জানার জন্য ভিড় করেছিলেন উৎসাহীরা।
এলাকাবাসীদের কথায়, দাসপুর একসময়ে জমিদারদের ঠিকানা ছিল। ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্যও বিখ্যাত ছিল এই এলাকা। ফলে স্বাভাবিকভাবেই সাধারণ মানুষদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ ছিল সিন্দুকটিকে ঘিরে। সোনা-দানাও থাকতে পারে এর মধ্যে, মনে করছিলেন অনেকেই। যদিও যাঁর জায়গা থেকে এই বাক্সটি উদ্ধার হয়েছিল সেই মহাদেব সামন্ত দাবি করেছিলেন, তিনি এ বিষয়ে কিছু জানেন না। এরপরে অনেক পরিশ্রম করে খোলা হয়েছিল সিন্দুকটি। কিন্তু তাতে হতাশই হতে হয় সাধারণ মানুষকে। কারণ তা পুরোটাই খালি ছিল।
সোমবার দুপুরে মহকুমা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ‘গতকাল সিন্দুকটি উদ্ধার হয়েছিল। আমরা খোঁজ নিয়েছিলাম। তার ভেতরে কিছু ছিল না।’ দাসপুর এলাকার জেলা পরিষদের সদস্য তথা জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ শ্যামপদ পাত্র বলেন, ‘আমারও কানে এসেছে বিষয়টি। পরে ভালোভাবে খবর নিয়ে দেখব। তবে রূপনারায়ণ নদীর তীরে অবস্থিত এই গোপীগঞ্জ এলাকা একসময়ে বাণিজ্য কেন্দ্র ছিল। এই সিন্দুক কত বছরের পুরনো, তা আগে খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে।