• হাওড়া-খড়্গপুর শাখার ট্রেন পরিষেবা নিয়ে তীব্র বিক্ষোভ নিত্যযাত্রীদের
    এই সময় | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • এই সময়, উলুবেড়িয়া: দক্ষিণ–পূর্ব রেলের লোকাল, বিশেষত হাওড়া–খড়গপুর শাখার ট্রেনের চলাচলের জন্য পরিষেবা তলানিতে ঠেকেছে। সময়মতো ট্রেন চলাচল এখন স্বপ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে সাধারণ যাত্রীদের কাছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে এসইউসিআই দক্ষিণ–পূর্ব রেলের খড়্গপুরের ডিআরএমের কাছে ২৭ ফেব্রুয়ারি গণ বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে। জনমত গঠনের জন্য প্রতিটি স্টেশনের বাইরে পথসভা করছেন তাঁরা।

    পথসভায় একদিকে দক্ষিণ–পূর্ব রেলের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ করছেন, অন্য দিকে, আর কোনও রাজনৈতিক দল বিষয়টি নিয়ে আন্দোলন না করায় তাদের সমালোচনা করেছেন।

    এসইউসিআই–এর হাওড়া জেলার গ্রামীণ সাংগঠনিক জেলার পক্ষ থেকে উলুবেড়িয়া স্টেশনের বাইরে এক সভা হয়। সেই সভায় সম্পাদিকা মিনতি সরকার বলেন, ‘আমাদের দেশের ছাত্র-ছাত্রী, অসংগঠিত শ্রমিক, দৈনিক যাতায়াতকারী চাকুরিজীবী, দিনমজুর, পরিচারিকা থেকে সাধারণ মানুষ এই ট্রেনের উপর নির্ভরশীল।’

    তিনি অভিযোগ করেন, হাওড়া–খড়্গপুর শাখায় নির্ধারিত সময়ে লোকাল ট্রেন চলাচল না করায় বহু মানুষ চাকরি হারিয়েছেন। ট্রেনের পরিবর্তে বাসে যাতায়াত করা একদিকে ব্যয়বহুল, অন্য দিকে, বাসে করে ফুল–ফল নিয়ে যাওয়া হকারদের পক্ষে সম্ভব নয়। লোকাল ট্রেন দেরিতে চলাচলের ফলে বহু নিত্যযাত্রীকে রাতের দিকে স্টেশনে রাত কাটাতে হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

    অনেক সময়ে আগাম না জানিয়ে লোকাল ট্রেন বাতিল করে দেওয়া হচ্ছে। তাঁর অভিযোগ, করোনাকালে যতগুলি লোকাল ট্রেন চালানো হতো, তা বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। হাওড়া থেকে ভদ্রক, শিরোমনণ, ঘাটশিলা আগে প্যাসেঞ্জার ট্রেন যাতায়াত করত। করোনার পরে সেগুলিকে এক্সপ্রেস ট্রেনে রূপান্তরিত করা হয়েছে। এতে সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

    এই প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, অন্য সব রাজনৈতিক দল শুধু ভোটের জন্যই রাজনীতি করে, কিন্তু সাধারণ মানুষের যে জ্বলন্ত সমস্যা, তা নিয়ে তারা উদাসীন। দলের জেলা নেতা সুখেন মণ্ডল বলেন, এই গণবিক্ষোভ সমাবেশে হাওড়া, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম থেকেও কর্মীরা যোগ দেবেন।

    এই প্রসঙ্গে ‘এই সময়’–কে এ দিন দক্ষিণ–পূর্ব রেলের সিপিআরও ওমপ্রকাশ চরণ অবশ্য বলেন, ‘দক্ষিণ–পূর্ব রেলের বিভিন্ন জায়গায় পরিকাঠামোগত কাজ চলছে। এর ফলে মাঝেমাঝে রেল পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটা কেটেও যাবে।’

  • Link to this news (এই সময়)