বিধানসভায় সাসপেন্ড বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ ৪ বিজেপি বিধায়ক। ৩০ দিনের জন্য সাসপেন্ড করা হয় তাঁদের। তালিকায় রয়েছেন, অগ্নিমিত্রা পাল, বঙ্কিম ঘোষ ও বিশ্বনাথ কারকও। কী কারণে সাসপেনশন? সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নে শুভেন্দুর দাবি, সরস্বতী পুজোয় দিকে দিকে মূর্তি ভাঙার প্রসঙ্গ তুলে ধরা, হিন্দুদের হয়ে কথা বলার জন্যই তাঁদের সাসপেন্ড করা হয়েছে। তবে বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, তাঁর সঙ্গে অভব্য আচরণ করার কারণেই সাসপেন্ড করা হয় বিজেপির ৪ বিধায়ককে।
স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "যে সরকারি কাগজগুলো সরবরাহ করা হয়েছিল, তা ছিঁড়ে আমার চেয়ারের দিকে ছুড়ে ছুড়ে মেরেছে। এই আচরণ নিন্দনীয়। এতে মোশন আনেন নির্মল ঘোষ। অধিবেশনের জন্য আগামী ৩০ দিন তাঁদের সাসপেন্ড করার জন্য একটি প্রস্তাব আনা হয়েছিল, এতে অন্যান্য বিধায়করা সমর্থন করেছেন।"
এর উত্তরে শুভেন্দু বলেন, "কাগজ কেউ ছেঁড়েনি। এই অ্যাডজর্ন মানি না। সরস্বতী পুজোয় ব়্যাফ কেন নামাতে হয়েছে? এখানে একটাই কারণ হিন্দুদের পক্ষে বলা যাবে না। উনি সমালোচনা শুনতে চান না। এই সরকার চাকরি দিতে পারেনি, শিল্প আনতে পারেনি। আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে পারেনি। পাশাপাশি এই সরকার হিন্দু বিরোধী সরকার।"
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয় শুভেন্দু এও দাবি করে বলেন, "রাজ্যে অগণতান্ত্রিক সরকার চলছে। বাংলাদেশে ইউনূস যা করছে এখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর দল একই কাজ করছে। বিধানসভায় কোনও প্রশ্নের উত্তর দেন না মুখ্যমন্ত্রী। আমরা দাবি করেছিলাম সরস্বতী আরাধনায় যে জিহাদি হামলা, যেভাবে হাইকোর্টের দারস্থ হওয়া, যেভাবে সশস্ত্র পুলিশ, আইপিএসদের নেতৃত্বে তাঁদের উপস্থিতিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পুজো হয়েছে। আমরা ব্রিটিশদের সময়ে বহরমপুর সেন্ট্রাল জেলে সরস্বতী পুজোর বন্ধের ফতোয়া অগ্রাহ্য করেছিলেন নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু, তা বইতে পড়েছি। সরস্বতী পুজোয় বাধা পড়েছে এটা বলতে গিয়ে আমাকে বাইরে রাখা হয়েছে। এই সরকার আনসারুল্লা বাংলার সরকার।"
প্রসঙ্গত, সরস্বতী পুজোয় নদিয়ায় মূর্তি ভেঙে দেওয়ার ঘটনাকে ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায়। চাপড়া থানার কলিঙ্গ এলাকার চড়ুই টিপি গ্রামে সরস্বতী ঠাকুরের মূর্তি ভেঙে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ওঠে। এদিন এই খবরের প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে বিধানসভায় বিক্ষোভ দেখান বিজেপির বিধায়কেরা।