• ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে বৈঠকে দেব, শিলান্যাস কবে?
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে বাজেটে ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ হতেই প্রকল্প রূপায়ণে কাজ শুরু করে দিলেন সাংসদ দেব। ইতিমধ্যেই তিনি এই প্রকল্প নিয়ে কীভাবে এগোবেন তা নিয়ে বৈঠক শুরু করে দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে। বৈঠকের পর জানিয়েও তিনি দিয়েছেন শিলান্যাস কবে করবেন।

    রবিবার ঘাটালের টাউন হলে ‘মনিটরিং কমিটি’র বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন সাংসদ দেব এবং রাজ্যের মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। বৈঠক শেষে দেব জানান কেন তিনি ২০২৪-এর নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলেন। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়িত করাই ছিল তাঁর একমাত্র শর্ত। তিনি আরও বলেন, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক বছরের মধ্যেই তিনি এই প্রকল্পের মোট খরচের এক-তৃতীয়াংশ দিয়েছেন। এবারে টেন্ডারের কাজ শুরু হতে চলেছে।

    তিনি আরও জানান, এবার বাজেটে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানে যে টাকা বরাদ্দ হচ্ছে, তা তিনি ‘দিদি’ (মুখ্যমন্ত্রী)-র কাছ থেকে আগেই জেনেছিলেন।   এটা ১৫০০-২০০০ কোটি টাকার প্রকল্প। তা সত্ত্বেও উনি কথা দিয়েছিলেন, এবং সে কথা রেখেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর দেখা হলেই তিনি এই প্রকল্পের কথা উল্লেখ করেন।

    এই প্রকল্পের নজরদারির জন্য মাস দেড়েক আগেই ঘাটালে গঠিত হয়েছে  ‘মনিটরিং কমিটি’। ইতিমধ্যে ‘পারচেজ কমিটি’ গঠন ও তার বৈঠকও  করেছে জেলা প্রশাসন। সেখানে জমি কেনা নিয়ে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। সিদ্ধান্ত হয়েছে, রাজ্য সরকার এখানে কোনও জমি অধিগ্রহণ করবে না। জমির মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করে তাঁদের লিখিত সম্মতি  সাপেক্ষে জমি কিনবে সরকার। তবে কবে এই প্রকল্পের শিলান্যাস হবে, তা এখনও স্থির হয়নি। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার পরেই শিলান্যাসের দিনক্ষণ ঠিক করা হবে বলে তিনি জানান।

    প্রশাসনিক সূত্রে খবর, ‘ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান’ বাস্তবায়নের প্রথম ধাপে দাসপুরে চন্দ্রেশ্বর খালের ছয় কিলোমিটার নতুন করে খনন করে শিলাবতীর সঙ্গে সংযোগ করা হবে। তার পাশাপাশি ঘাটাল শহরে শিলাবতী নদীর পশ্চিম পারে নদীর ভিতর থেকে উঁচু পাঁচিল তৈরি করা হবে। এর সঙ্গেই ঘাটাল শহরে দু’টি পাম্প হাউস তৈরি হবে। দাসপুর-২ ব্লকে চারটি ও ঘাটাল শহরে একটি স্লুইস গেট তৈরি হবে। এ ছাড়াও মাস্টার প্ল্যান প্রকল্প এলাকায় একাধিক নদী ও খাল সংস্কারও হবে। একই সঙ্গে চলবে এই সব কাজ।

    উল্লেখ্য, ১৯৫৯ সালে মান সিংহ কমিটির রিপোর্টে প্রথম ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কথা বলা হয়। এই প্রকল্পে সম্মতি দিতে যোজনা কমিশনের ২০ বছর লাগে। তার পর বাম আমলে টাকা বরাদ্দের পর প্রকল্পের শিলান্যাসও হয়েছিল। তবে মাঝপথে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। তারপর টাকা বরাদ্দ নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্যের টালবাহানায় আটকে ছিল গোটা প্রকল্প। এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রকল্পে মোট খরচের এক তৃতীয়াংশ বরাদ্দ করায় আশার আলো দেখছেন ঘাটালবাসীরা।  সেই সঙ্গে খুশি এলাকার সাংসদ দেব।
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)