• অসুস্থ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী, নিজের গাড়িতেই কেন্দ্রে পৌঁছে দিলেন আলিপুরদুয়ারের ‘মানবিক’ চেয়ারম্যান
    প্রতিদিন | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • রাজ কুমার, আলিপুরদুয়ার: অসুস্থ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষাকেন্দ্রে নিয়ে গেলেন খোদ পুরপ্রধান। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যানও। পরে ছাত্রীর শারীরিক অবস্থার খোঁজও নিয়েছেন তাঁরা। ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুরদুয়ার শহরে।

    জানা গিয়েছে, এবার মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে বাদলনগরের বাসিন্দা শান্তনি পাল। শনিবার অঙ্ক পরীক্ষার দিনই সে অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। রবিবারও অসুস্থ অবস্থাতেই পড়াশোনা করে। আজ সোমবার ছিল মাধ্যমিকের ইতিহাস পরীক্ষা। এদিনে সকাল থেকে সে আবার অসুস্থ হয়ে যায়। এই নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছিলেন তার বাবা-মা। পুরসভার পক্ষ থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের সাহায্যের জন্য হেল্পলাইন নম্বর খোলা হয়েছিল।

    মেয়েকে নিয়ে কীভাবে পরীক্ষার হলে পৌঁছবেন? সেই দুশ্চিন্তায় পড়েছিলেন বাবা প্রবীরকুমার পাল। তিনি পুরসভার ওই হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করে সাহায্য চান। কিছু সময়ের মধ্যেই বাড়িতে শশরীরে পৌঁছে যান খোদ পুরসভার চেয়ারম্যান বাবলু কর। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান মাম্পি অধিকারী। তাঁরা প্রথমে ওই ছাত্রীর স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেন। কিছুটা সুস্থবোধ করলে শান্তনি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেয়। কিন্তু হাতে তেমন সময় নেই। সে কারণে পুরসভার চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান নিজেদের গাড়িতে ওই পরীক্ষার্থীকে উঠতে বলেন।

    চেয়ারম্যান নিজের গাড়িতে শান্তনিকে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছে দেন। আলিপুরদুয়ার নিউটাউন গার্লস হাইস্কুলের পড়ুয়া সে। তার মাধ্যমিকের সিট পড়েছে শহরের বাবুপাড়া গার্লস হাইস্কুলে। বাড়ি থেকে ওই স্কুলের দূরত্ব তিন কিমির বেশি। যানজটে যাতে দেরি না হয়, পুলিশের পক্ষ থেকেও উদ্যোগ নেওয়া হয়। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করা হয়। নির্দিষ্ট সময়েই পৌঁছে যায় ওই ছাত্রী। পরে জানা যায়, ইতিহাস পরীক্ষাও শান্তনির ভালোই হয়েছে।

    ছাত্রীর বাবা প্রবীরকুমার পাল পুরপ্রধানের এই ভূমিকার প্রশংসা করেছেন। চেয়ারম্যান বাবলু কর, জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন পরীক্ষার্থীদের যাতে কোনও সমস্যা না হয়। সে কারণেই ছাত্রীর অসুস্থতার কথা শুনে এই পদক্ষেপ করা হয়েছে।
  • Link to this news (প্রতিদিন)