• দিল্লির রেল দুর্ঘটনা ‘হাফ-মন্ত্রীর অবহেলা’, কটাক্ষ তৃণমূলের, শিয়ালদহে বিক্ষোভ কংগ্রেসের
    প্রতিদিন | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: মহাকুম্ভের ভিড়ে নয়াদিল্লি স্টেশনে পদপিষ্ট হয়ে ১৮ টি প্রাণ ঝরে গিয়েছে অকালে। তাতে রেলের দায় কতটা? এনিয়ে সর্বস্তরে সমালোচনার ঝড়। সোশাল মিডিয়ায় এই ঘটনার জন্য এবার রেলমন্ত্রীকে ‘হাফ-মন্ত্রী’ বলে কটাক্ষ করল তৃণমূল। তাদের অভিযোগ, এর নেপথ্যে হাফ-মন্ত্রীর অবহেলা, যা অপরাধমূলক। রেলের এই দুর্বল পরিকাঠামো, যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যে অবহেলার অভিযোগে আগেই সংসদে প্রশ্ন তুলেছিলেন দলের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার তা ফের তুলে ধরে সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করল তৃণমূল। এদিকে, রেলমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি তুলে শিয়ালদহে বিক্ষোভে শামিল কংগ্রেস। পোস্টার, ব্যানার হাতে স্টেশন চত্বরে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকারের নেতৃত্বে প্রতিবাদে নামলেন শয়ে শয়ে দলীয় কর্মী।

    গত শনিবার রাতে ভয়াবহ দুর্ঘটনার সাক্ষী ছিল নয়াদিল্লি স্টেশন। মহাকুম্ভে পুণ্যার্থীদের ভিড়, যাত্রীদের হুড়োহুড়ির মাঝে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ১৮ জন। এদের মধ্যে ১১ জন মহিলা এবং ৪ শিশু। আহত অবস্থায় অনেকে এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনা নিছকই দুর্ঘটনা নয়, এটি দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার সবচেয়ে বড় পরিষেবা রেলের চূড়ান্ত অব্যবস্থা, অবহেলার নজির বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।

    দুর্ঘটনার খবর পেয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে উল্লেখ করেছিলেন ‘হৃদয়বিদারক ঘটনা।’ আর সোমবার তৃণমূলের তরফে এক্স হ্যান্ডলে রেলমন্ত্রীর বিরোধিতা করে কড়া ভাষায় পোস্ট করা হয়েছে। তৃণমূলের আক্রমণ, এই ঘটনা রেলের ‘হাফ-মন্ত্রী’ অশ্বিণী বৈষ্ণবের চরম উদাসীনতার পরিচয়। স্রেফ লোকদেখানো কাজ করেন তিনি। দেশের পরিবহণ ব্যবস্থার ‘লাইফলাইন’কে ক্রমশ বিপদের মুখে ঠেলে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তুলল তৃণমূল।

    অন্যদিকে, দিল্লির এই রেল দুর্ঘটনার প্রতিবাদে রেলমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকারের নেতৃত্বে শিয়ালদহ স্টেশনে বিক্ষোভ দেখালেন কংগ্রেস কর্মীরা। স্টেশন চত্বরে ধরনায় বসেন তাঁরা। হাতে সাদা-কালো পোস্টারে লেখা ? ‘বিজেপি শাসনে রেলযাত্রা মৃত্যুফাঁদ’। শুভঙ্কর সরকার জানান, আমাদের প্রথম দাবি, রেলমন্ত্রী হয় পদত্যাগ করুন নয়তো সরকার তাঁকে বরখাস্ত করুন। উনি একজন পণ্ডিত মানুষ। কিন্তু তাঁর হুঁশ নেই, লজ্জা নেই যে এই ঘটনার পর পদত্যাগ করা উচিত। মন্ত্রী, সরকার সবাই অপদার্থ। এরা মানুষকে চক্রান্ত করে মেরে ফেলেছে। মহাকুম্ভে এত ভিড় হবে, তা কি জানা ছিল না? কেন সেইমতো ব্যবস্থা করা হয়নি?” তাঁর আরও বক্তব্য, রেলের উপর থেকে সাধারণ মানুষের যাতে ভরসা না উঠে যায়, তার জন্য রেলমন্ত্রীর ইস্তফা জরুরি।
  • Link to this news (প্রতিদিন)