নদিয়ার বাঙ্কার রহস্যের এখনও সমাধান হয়নি। সীমান্ত এলাকায় বাঙ্কার থেকে প্রায় দেড় কোটি টাকার নিষিদ্ধ মাদক ফেনসিডিল উদ্ধার করেছিল বিএসএফ। এ বার ফেনসিডিল উদ্ধার করতে গিয়ে আক্রান্ত হলেন বিএসএফ জওয়ানরা। বাংলাদেশ সীমান্তে ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রবল উত্তেজনা। ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তবে হামলার ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।
সূত্রের খবর, বিএসএফের কাছে গোপনে খবর আসে নদিয়ার মথুরাপুর এলাকায় রিভার পাম্পের ভিতরে প্রচুর পরিমাণে ফেনসিডিল মজুত করা হয়েছে পাচারের উদ্দেশে। কৃষ্ণগঞ্জের মথুরাপুর এলাকায় সোমবার সকালে তল্লাশি চালাতে যান বিএসএফ কর্মীরা। অভিযোগ, সেই সময়েই তাঁদের উপর আক্রমণ করে গ্রামবাসীদের একাংশ।
বিএসএফ সূত্রে খবর, সামনের সারিতে কিছু মহিলারা থাকলেও পিছনের দিকে এই আক্রমণের ঘটনায় মদত দিয়েছে এলাকার কিছু দুষ্কৃতী। পাচারের সঙ্গেই তারা যুক্ত বলে সন্দেহ বিএসএফ-এর। এ দিন বিএসএফের গাড়ি ভাঙচুর করে দুষ্কৃতীরা। পরে বিএসএফ-এর বড় বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বিএসএফের পক্ষ থেকে মথুরাপুর এলাকায় মোট ১০ জনের নামে কৃষ্ণগঞ্জ থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে। তদন্তে নেমেছে কৃষ্ণগঞ্জ থানার পুলিশ।
উল্লেখ্য, গত মাসেই নদিয়ার এই কৃষ্ণগঞ্জ থানা এলাকার নঘাটা নামে একটি গ্রামের ভিতর মাটির নিচে চারটি বাঙ্কার উদ্ধার হয়। সেই বাঙ্কারগুলি থেকে উদ্ধার হয়েছিল প্রায় ৬২ হাজার ফেনসিডিলের বোতল। ১০ বিঘা জমিতে স্থানীয় বাসিন্দা লাল্টু মহারাজ নামে এক ব্যক্তি ওই বাঙ্কার তৈরি করেছিল বলে জানা যায়। ঘটনার পর থেকেই লাল্টু পলাতক। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।