• খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালেও ‘মাতৃমা’, জেলার স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নতিতে একগুচ্ছ উদ্যোগ মেদিনীপুরে
    এই সময় | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • ৮ জানুয়ারি মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের ‘মাতৃমা’ বিভাগে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়। স্যালাইন থেকে বিষক্রিয়া নাকি চিকিৎসকদের গাফিলতি, কী কারণে এই ঘটনা? তার তদন্ত করছে সিআইডি। তবে সরকারি হাসপাতাল-সহ জেলার চিকিৎসা কেন্দ্রগুলিতে স্বাস্থ্য পরিষেবা সংক্রান্ত নানা অভিযোগ উঠে এসেছিল রোগীদের মুখে। এ বার জেলা জুড়ে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার খোলনলচে বদলাতে তৎপর হলো পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর।

    মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের পর এ বার খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালেও একটি ১০০ শয্যার অত্যাধুনিক ‘মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাব’ (মাতৃমা) গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকারিক (CMOH) সৌম্যশঙ্কর ষড়ঙ্গী বলেন, ‘সম্প্রতি খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালের একটি ১০০ শয্যার কোভিড ওয়ার্ড গড়ে তোলা হয়েছে। নতুন এই চার তলা ভবনের শুধুমাত্র একটি তলাই এই মুহূর্তে প্রশাসনিক কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। আমরা এই নতুন ভবনটিকেই মা ও শিশুদের উন্নত চিকিৎসা দেওয়ার পরিকল্পনা করে এগোচ্ছি।’

    সূত্রের খবর, চার তলা ভবনের দোতলায় তিনটি ওটি রুম এবং একটি লেবার রুম থাকবে। তিন তলা ও চার তলাতে যথাক্রমে প্রসূতি ও সদ্যজাতদের রাখা হবে। সবমিলিয়ে শয্যা সংখ্যা হবে ১০০। মায়েদের জন্য ৮০টি ও শিশুদের জন্য ২০টি বেড রাখা হবে।

    এছাড়াও, ক্ষীরপাই গ্রামীণ হাসপাতালের রোগীদের চাপ থাকায় সম্পূর্ণ নতুন একটি ভবন তৈরি করা হচ্ছে। শয্যা সংখ্যা ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৬০ করা হবে। কেশিয়াড়ি গ্রামীণ হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৬০ করা হবে। আনন্দপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ১০ শয্যার ইন্ডোর পরিষেবা চালু করা হবে। কেশপুর গ্রামীণ হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৫০ করা হবে বলে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর।

  • Link to this news (এই সময়)