• মণ্ডল সভাপতি নির্বাচিত হতেই বিজেপি নেত্রীর নামে পোস্টার বিষ্ণুপুরে
    এই সময় | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • বিজেপির মণ্ডল সভাপতি নির্বাচন হতেই বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে বিতর্কিত পোস্টার পড়ল। আর সেই পোস্টার ঘিরে শুরু রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিজেপির দাবি, এই পোস্টার তৃণমূলের লোকজনের দেওয়া। পাল্টা তৃণমূলের খোঁচা, বিজেপি গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে দীর্ণ একটা দল। এই পোস্টারও তারই প্রকাশ।

    বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলায় বিজেপির মণ্ডল চারের সভাপতি হিসাবে মনোনীত হয়েছেন শুক্লা চট্টোপাধ্যায়। তাঁর সমালোচনা করেই সোমবার বিষ্ণুপুর এক্সচেঞ্জ মোড়ে বিভিন্ন পোস্টার দেখা যায়। সাদা কাগজে ছাপার অক্ষরে পোস্টারে লেখা, ‘ভুয়ো ডাক্তারের বৌ শুক্লা চ্যাটার্জিকে মণ্ডল সভাপতি মানছি না, মানব না। নীরজ কুমারকে দলে ফেরাতে হবে।’

    শুক্লা চট্টোপাধ্যায় বলেন, এই ব্যাপারটা আমার কাছে স্পষ্ট নয়। কারণ, সারা পশ্চিমবঙ্গে ভোটের মাধ্যমেই মণ্ডল সভাপতি নির্বাচিত হচ্ছে। সেই ভিত্তিতে আমিও নির্বাচিত হয়েছি। জনগণ আমাদের দু’হাত তুলে দিয়েছেন লোকসভা ভোটে। তাই বিরোধীরা এই চক্রান্ত করছে।’

    যদিও বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সহ সভাপতি দিব্যেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, এই সব অভিযোগ ভিত্তিহীন। তৃণমূলের এ সব করার প্রয়োজন নেই। তাঁর কথায়, ‘বিজেপি গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জর্জরিত। ওদের কী অবস্থা, সকলেই তা জানে। ওদের তো কোনও নীতি-আদর্শই নেই। ওদের গোষ্ঠীকোন্দলেরই ফল এটা।’

    বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপির মুখপাত্র দেবপ্রিয় বিশ্বাসের দাবি, সকলে মিলে ভোট দিয়ে মণ্ডল সভাপতি নির্বাচিত করেছেন। তাই এখানে ‘মানছি না, মানব না’ লেখার প্রশ্নই নেই। এটা তৃণমূলই করছে। কিন্তু এই নীরজকুমার কে? দেবপ্রিয় জানান, আগে জেলা সংগঠনে সহ সভাপতি পদে ছিলেন। তবে এখন সাধারণ কর্মী।

  • Link to this news (এই সময়)