পছন্দ নন জেলা সম্পাদক! মন্দার বাজারেও সিপিএম-এ ছাড়ল ৫০০ সদস্য, এই জেলায় তুলকালাম...
আজকাল | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: নিয়ম ভেঙে পরপর চারবার নিরঞ্জন সিহিকে জেলা সম্পাদক করার জেরে পূর্ব মেদিনীপুরে সদস্যপদ রিনিউ করালো না ৫০০ ‘কমরেড’। এদের অধিকাংশই দলের সংকটের সময় ঝান্ডা ধরতে পিছপা হননি। অনেকেরই বক্তব্য, নিরঞ্জন সিহির টানা চতুর্থবার জেলা সম্পাদক হওয়ার ঘটনা মেনে নিতে পারছেন না, এর ফলে দলের ক্ষতি হচ্ছে। নিরঞ্জনকে টানা চারবার জেলা সম্পাদক করায় আখেরে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় দলের ক্ষতি হল।
জানা গিয়েছে, জেলায় সিপিএমের এরিয়া কমিটির সংখ্যা ৬৪টি। এরিয়া কমিটিগুলির অধীনে রয়েছে ৭১২টি শাখা বা ব্রাঞ্চ কমিটি। এইসব মিলিয়ে মোট ৮৩৮৫ পার্টি সদস্য ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ৭৮৯৫জন সদস্যপদ রিনিউ করিয়েছেন। বাকি প্রায় ৫০০জন সদস্যপদ রিনিউ করাননি। যদিও দলের তরফে কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে নিষ্ক্রিয়তা, লেভি ফাঁকি দেওয়া এবং আন্দোলনে ঝাঁঝ না থাকা ইত্যাদি। এ ছাড়াও দলবিরোধী কাজের অভিযোগে এক বছরে ২০ জন সদস্যকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এক বছরে ৬০ জন প্রবীণ কমরেডের মৃত্যু হয়েছে।
প্রত্যেক সিপিএম সদস্যকে মাসিক লেভি দিতে হয়। যার যত বেশি বেতন, তাঁর তত বেশি লেভি। কিন্তু কড়ায় গন্ডায় লেভি আদায় হলেও সার্কুলার কেন্দ্রিক রুটিন মিটিং, মিছিল ছাড়া কোনও ঝাঁঝালো আন্দোলন না থাকার কারণে তাঁরা সদস্যপদ রিনিউ করে আর লেভি দিতে চান না।
গত ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পাঁশকুড়ায় দলের জেলা সম্মেলন হয়ে গিয়েছে। জেলা সম্মেলন নিরঞ্জন সিহিকে টানা চারবার জেলা সম্পাদক করায় দলের অভ্যন্তরে হইচই শুরু হয়। জেলা কমিটির এক সদস্য এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন
ইব্রাহিম আলি এবং পরিতোষ পট্টনায়কের দুই যুযুধান গোষ্ঠীকে জেলার সম্পাদক হওয়া থেকে রুখতে নিয়ম ভেঙে নিরঞ্জন সিহিকে পুনরায় সম্পাদক করে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। সামনেই পার্টির যুব সংগঠন থেকে বিদায় নেবেন ইব্রাহিম। তারপরেই তাঁকে জেলা সম্পাদক করবে আলিমুদ্দিন, এমনটাই সমীকরণ।