এই সময়, দত্তপুকুর: পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ঠান্ডা মাথায় নৃশংস ভাবে হজরত লস্করকে খুন করেছিল দুষ্কৃতীরা। খুনের পর কেটে গিয়েছে পনেরো দিন। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত চার জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মূল অভিযুক্ত মহম্মদ জলিল গাজিকে গত বুধবার জম্মুর সাম্বা থেকে গ্রেপ্তারের পরেও কেটে গিয়েছে ছ’দিন।
এতদিন ধরে ধৃতদের জেরা করেও হজরতের কাটা মাথার খোঁজ পেতে এখনও ব্যর্থ দত্তপুকুর থানা থেকে বারাসত পুলিশ জেলার শীর্ষ পুলিশকর্তারা। ধৃত জলিলকে সঙ্গে নিয়েই তার বাজিতপুরের ভাড়া বাড়ির কাছে কাটা মাথার খোঁজ চালাবে দত্তপুকুর থানার পুলিশ। নিহত যুবকের মোবাইল ফোনও খুঁজছে পুলিশ।
এ দিকে, হাড় হিম করা খুনের ১৫ দিন পরেও হজরতের লস্করের কাটা মাথার খোঁজ না পাওয়ায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন দত্তপুকুরের বাসিন্দারা। দত্তপুকুর থেকে জম্মু, বাংলাদেশে যার অবাধ যাতায়াত, সেই জলিলের বয়ান সঠিক হবে কি না, তার ভাড়া বাড়ির সামনে হজরতের কাটা মাথার হদিস পাওয়া নিয়ে তাই কিছুটা সংশয়ে তদন্তকারীরাও।
পুলিশ তদন্তে জানতে পেরেছে, হজরত খুনে জলিলকে সাহায্য করেছিল তার স্ত্রী সুফিয়া খাতুন। খুনের সময় হজরতের হাত, পা বাঁধা অবস্থায় চেপে ধরে রেখেছিল ধৃত সুফিয়া। খুনের পর কাটা মাথা নিয়ে জলিল এবং সুফিয়া ভাড়া বাড়ি পর্যন্ত এসেছিল বলেই তদন্তে জানতে পারে পুলিশ। জেরায় হজরত খুনের কথা স্বীকারের পাশাপাশি কাটা মুন্ডু তাদের ভাড়া বাড়ির কাছে লুকিয়ে রেখেছে বলেই স্বীকার করেছে জলিল। তার বয়ান অনুযায়ী আজ, মঙ্গলবার ধৃত জলিলকে নিয়ে ওই ভাড়া বাড়িতে তল্লাশি চালাবে দত্তপুকুর থানার পুলিশ।
এ দিকে, খুনের পর থেকেই ঘটনাস্থলের চাষজমির ক্রাইম স্পট ব্যারিকেড করে রেখেছে পুলিশ। ফলে, ওই জমিতে যেতেও আতঙ্কে রয়েছেন স্থানীয় চাষিরা। পুলিশ সুপার প্রতীক্ষা ঝাড়খড়িয়া বলেন, ‘জলিলকে নিয়ে মঙ্গলবার কাটা মাথার খোঁজ চালাবে পুলিশ। খুনের আগে জলিল কথা বলেছিল হজরতের সঙ্গে। ওই ফোন উদ্ধার করলে খুনের অনেক তথ্যই পুলিশের হাতে চলে আসবে। কাটা মুন্ডু মাটির নীচে লুকিয়ে রাখলেও নিহতের দাঁত এবং চুল নষ্ট হবে না। সেগুলো ডিএনএ পরীক্ষা করা সম্ভব।’