সংবাদদাতা, রঘুনাথপুর: গ্রামে ফিরতেই সন্তোষ ট্রফি জয়ী বাংলা দলের খেলোয়াড় মনোতোষ মাজিকে নিয়ে উচ্ছ্বাসে ভাসলেন বাসিন্দারা। সোমবার নিতুড়িয়া ব্লকের তিলতোড়ে গ্রামে তাঁর জন্য সংবর্ধনা সভার আয়োজন করা হয়। জন প্রতিনিধিদের পাশাপাশি গ্রামবাসীরা তাঁকে সংবর্ধনা দেন।
মনোতোষের বাবা নন্দলাল মাজি কেন্দ্রীয় সরকারের সিআইএসএফে চাকরি করেন। একমাত্র বোন খড়্গপুর আইআইটির ছাত্রী। ফলে তাঁদের পরিবারকে নিয়ে গ্রামে একটা আলাদা গর্ব রয়েছে। সেই গর্ব মনোতোষের সৌজন্যে আরও বেড়েছে। গ্রামবাসীরা বলেন, মনোতোষের শৈশব নিতুড়িয়ায় কেটেছে। তাঁর বাবা কেন্দ্রীয় ফোর্সে চাকরি করার জন্য দেশের বিভিন্ন জায়গায় থাকেন। এখনও গ্রামে উৎসব অনুষ্ঠানে তাঁদের পরিবার আসে। ছোট থেকে ফুটবলের প্রতি টান ছিল মনোতোষের। তাই গ্রামের মাঠ হোক কিংবা শহরের মাঠ যেখানে খেলা হতো, সেখানেই ফুটবল খেলতে চলে যেত। উচ্চ মাধ্যমিক পাশের পর ফুটবলের প্রতি তাঁর টান বেড়ে যায়। বছর ২৫ এর মনোতোষ ২০১৭ সালে কলকাতার একটি ক্লাবে ফুটবলের কোচিং শুরু করেন। তালতলা, কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের হয়ে প্রথম ডিভিশনে খেলেন। বাংলা দলে সুযোগের জন্য একাধিকবার চেষ্টা করেন। কিন্তু, ২০২১, ’২২ ও ’২৩ সালে ট্রায়ালে বাদ পড়ে যান। তবে এবার সুযোগ পেয়েই নিজেকে উজাড় করে দেন।
মনোতোষ বলেন, বাংলার মূল দল থেকে বাদ পড়তে পড়তে হতাশ হয়ে পড়েছিলাম। দলে সুযোগ পাওয়ার পর নিজের সমস্ত কিছু উজাড় করে দিয়েছিলাম। দলে ফরোয়ার্ড হিসেবে খেলেছিলাম। ফাইনাল পর্যন্ত দলকে নিয়ে যেতে মোট ৬টি গোল এবং পাঁচটি গোলের ক্ষেত্রে সাহায্য করি। রাজ্য পুলিসের এএসআই হিসেবে নিয়োগপত্র পেয়েছি। গ্রামবাসীরা যেভাবে আমাকে সংবর্ধনা দিয়েছে, তাতে আমি আনন্দিত। এত ভালোবাসা পাব জানা ছিল না।
মনোতোষের দাদা রাজেশ মাজি বলেন, মনোতোষের জন্য আমরা সমস্ত নিতুড়িয়াবাসী গর্বিত। গ্রামের তো বটেই সমস্ত ব্লকের মানুষ ওকে সংবর্ধনা জানিয়েছে।