• অভাবী বিক্রি বন্ধে আলু কেনা শুরু রাজ্যের
    বর্তমান | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বর্ধমান: আলুর অভাবী বিক্রি বন্ধ করতে মাঠে নামল পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন। চাষিদের কাছ থেকে সুফল বাংলা স্টলে সরাসরি আলু কেনা হচ্ছে। সোমবার ন’কুইন্টাল আলু কেনা হয়েছে। পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক আয়েশা রানি এ বলেন, এখন পোখরাজ আলু উঠছে। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আলু কেনা হচ্ছে। তা সুফল বাংলা স্টলে বিক্রি করা হচ্ছে।


    চাষিদের দাবি, গতবারের চেয়ে এবার অনেক বেশি আলু উৎপাদন হবে। মরশুমের শুরুতেই আলুর দাম কমে গিয়েছে। জ্যোতি আলু উঠতে শুরু করলে দাম আরও কমে যাবে। সরকার আলু কেনার পরিমাণ বাড়ালে সমস্যা হবে না। তা না হলে বহু চাষি লোকসানের মুখে পড়বে। 


    কৃষি বিপণন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, আলুর ফলন বেশি হবে ধরে নিয়েই প্রস্ততি নেওয়া হচ্ছে। এবছর প্রতিটি হিমঘরের ৩০শতাংশ জায়গা প্রান্তিক চাষিদের জন্য সংরক্ষণ করা হয়েছে। যাঁদের নাম কৃষকবন্ধু প্রকল্প বা শস্যবিমায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে তাঁরা এই সুবিধা পাবেন। পূর্ব বর্ধমানের পাশাপাশি অন্যান্য জেলাতেও এবার আলুর ফলন বেশি হবে। হিমঘরগুলিতে আলু মজুত বেশি হবে। এবছর রাজ্যে নতুন ১২টি হিমঘর হচ্ছে। সেগুলিতে এক লক্ষ ৩৭হাজার মেট্রিক টন আলু রাখা যাবে। সব মিলিয়ে ৮১লক্ষ মেট্রিক টন আলু মজুত করা যাবে। উত্তরবঙ্গেই ১০টি নতুন হিমঘর চালু হয়েছে। রাজ্যের কৃষি বিপণন দপ্তরের মন্ত্রী বেচারাম মান্না বলেন, রাজ্য সরকার চাষিদের পাশেই রয়েছে। তাঁদের সুবিধার জন্য একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। 


    শক্তিগড়ের আলু চাষি রাজু মণ্ডল বলেন, ৫০ কেজি আলুর দাম ৩০০ টাকাও পাওয়া যাচ্ছ না। ফলন বেশি হয়েছে। কিন্তু লাভের মুখ দেখা যাচ্ছে না। কৃষি বিপণন দপ্তর ১০ টাকা কেজি দরে আলু কিনলে কিছুটা সুরাহা হবে। সেটা না হলে আগামী দিনে চাষিদের চার-পাঁচ টাকা দরে আলু বিক্রি করতে হবে। এক বিঘা জমিতে আলু চাষ করতে যত টাকা খরচ হয় সেটাই উঠছে না।
  • Link to this news (বর্তমান)