• রায়গঞ্জে নাবালিকা ধর্ষণে গ্রেপ্তার যুবক
    বর্তমান | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, রায়গঞ্জ: ফের নির্যাতনের শিকার এক নাবালিকা। অভিযোগ, পড়া দেখানোর নাম করে ডেকে নিয়ে গিয়ে নাবালিকা ছাত্রীকে ধর্ষণ করে প্রতিবেশী যুবক। দিন কয়েক আগে রায়গঞ্জের গোবিন্দপুর এলাকায় পাশবিক ঘটনাটি ঘটলেও রবিবার এব্যাপারে অভিযোগ দায়ের হয় রায়গঞ্জ থানায়। পুলিস তড়িঘড়ি অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। 


    রায়গঞ্জের পুলিস সুপার সানা আখতার বলেন, এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠতেই অভিযুক্ত যুবক জিয়ারুল হককে রায়গঞ্জ থানার পুলিস গ্রেপ্তার করেছে। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিস। এব্যাপারে সবদিক খতিয়ে দেখা শুরু হয়েছে। 


    স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে খবর, রায়গঞ্জ থানার অধীন গোবিন্দপুর এলাকায় চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে। নির্যাতিতা নাবালিকা একটি হাইস্কুলের ছাত্রী। জানা গিয়েছে, নাবালিকা যখন স্কুলে যেত, সেসময় প্রতিবেশী এক মহিলা তাকে বারবার ডাকত। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে একদিন ওই মহিলার ঘরে যায় ছাত্রীটি। সেসময় ওই মহিলা তার আত্মীয় অভিযুক্ত যুবকের সঙ্গে ছাত্রীটির পরিচয় করিয়ে দেয়। সেখানেই দু’জনের প্রথম পরিচয়। ধীরে ধীরে অভিযুক্ত যুবক ছাত্রীটির সঙ্গে মোবাইল নম্বরও লেনদেন করে। সেই নম্বর ব্যবহার করেই মাঝেমধ্যে ছাত্রীটিকে বিরক্ত করত অভিযুক্ত। প্ররোচনায় পা না দিলেও যুবক মাঝেমধ্যেই ছাত্রীটিকে ফোন করত। এভাবে কয়েকদিন যেতে না যেতেই পড়া দেখানোর নাম করে ছাত্রীটিকে ডাকে ওই যুবক। যুবকের পাতা সেই ফাঁদেই পা দেয় নাবালিকা। তখনই নাবালিকাকে ধর্ষণ করে ওই যুবক। শেষে ঘটনার আকস্মিকতা কাটিয়ে উঠে নাবালিকা পরিবারের লোকজনের কাছে ঘটনাটি জানায়। এরপরই নাবালিকার বাবা লিখিতভাবে পুলিসের কাছে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন। 


    রবিবার এই অভিযোগ দায়ের হয়। রায়গঞ্জ থানার পুলিস রবিবার রাতেই অভিযুক্ত জিয়ারুল হককে গ্রেপ্তার করে। সোমবার জেলা আদালতে হাজির করা হয় অভিযুক্তকে। পকসো আদালতের সরকারি আইনজীবী সুজিত সরকার বলেন, পকসো আইনের বিভিন্ন ধারায় অভিযুক্ত করে এক যুবককে এদিন আদালতে আনা হয়। অভিযোগ, ধৃতের মাসি এক স্কুলছাত্রীকে স্কুল যাওয়ার সময় প্রায় দিনই ডাকত। সেই মহিলা ছাত্রীকে একদিন তার বাড়িতেও নিয়ে যায়। অভিযুক্ত যুবকের সঙ্গে ছাত্রীর পরিচয় করিয়ে দেয়। শেষে এক সময় ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। অভিযুক্ত বিবাহিত। এদিন শুনানিতে অভিযুক্তের জামিনের আবেদন নাকচ করে আদালত। তাকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
  • Link to this news (বর্তমান)