সংবাদদাতা, ময়নাগুড়ি: একসময় যে গাড়ি ব্যবহার করতেন ইংরেজ সাহেবরা সেই ভিনটেজ কার আচমকাই দেখা গেল ময়নাগুড়ি শহরে। কিন্তু সেটা কী আদৌ ভিনটেজ কার! কাছে যেতেই দেখা গেল অন্যকিছু। টোটোকে মডিফাই করে বানানো হয়েছে ভিনটেজ গাড়ি। সোমবার সেই টোটো রাস্তায় চলায় আটক করে ময়নাগুড়ি থানার পুলিস। তবে টোটো মালিকের এহেন কাণ্ড দেখে হতবাক পুলিসকর্মীরাও।
এদিকে, সোমবার রাস্তায় এমন গাড়ি দেখে প্রচুর লোকজন দাঁড়িয়ে যায়। ধূপগুড়ির বাসিন্দা টোটোর মালিক জয় সরকার জানিয়েছেন, শিলিগুড়ি থেকে টোটো মডিফাই করে এনেছেন। টোটোর এমন রূপ বদলাতে কিন্তু খরচ কম হয়নি। জয়বাবু বলেন, প্রায় তিন লক্ষ টাকা খরচ করে টোটোকে ভিনটেজ কারের রূপ দিয়েছি। এটা এখন বিয়েবাড়িতে ভাড়া দিচ্ছি।
টোটোচালক উত্তম দাস বলেন, আমি ধূপগুড়ি থেকে টোটোটি চালিয়ে নিয়ে আসছি। মালবাজারে একটি বিয়েবাড়িতে যাচ্ছি। আমি এর থেকে বেশি কিছু জানি না। তবে শুনেছি, টোটোটি শিলিগুড়ি থেকে না কি মডিফাই করা হয়েছে।
এদিকে, ময়নাগুড়ির রাস্তায় আচমকাই সাদা রঙের ভিনটেজ কার দেখে লোকজনের মধ্যে কৌতূহল বাড়ে। গাড়ি নিয়ে যাঁরা চর্চা করেন তাঁদের অনেকেই গাড়ি দাঁড় করিয়ে খুঁটিনাটি খতিয়ে দেখেন। তবে কোনও নম্বর প্লেট নেই, সামনে লেখা ১৯৪১ সাল। ইলেক্ট্রিক এয়ার হর্নের পরিবর্তে আছে রবার হর্ন। টোটোর হ্যান্ডেল তুলে দিয়ে যুক্ত করা হয়েছে স্টিয়ারিং হুইল। টোটোর ভিতর থেকে সুইচ টিপে সবকিছু মনিটরিং করা যায়। পাঁচজন বসার ব্যবস্থা রয়েছে। দু’পাশে আছে লুকিং গ্লাস। দু’টি ল্যাম্প, যেখানে লেখা রয়েছে লন্ডন ১৯২০। টোটোয় প্রবেশ করার দরজাগুলিও একটু ভিন্নরকম।
গাড়ির মালিক জয়বাবু বলেন, টোটো কিনে মডিফাই করেছি। এটি সাধারণত রাস্তায় চালানো হয় না। বিয়ে কিংবা কোনও অনুনষ্ঠান বাড়িতে সেলফি তোলার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। নবদম্পতিকে আপ্যায়নের জন্য এটি অনেকে ভাড়া করেন। আর অন্য কোনও ক্ষেত্রে এটি আমি ব্যবহার করি না।
ময়নাগুড়ি থানার পুলিস জানিয়েছে, টোটো মডিফাই করে গাড়িতে রূপান্তর করার কারণে আটক করা হয়েছে। জরিমানা করা হবে।