সংবাদদাতা, ময়নাগুড়ি: ময়নাগুড়িতে রাতে ওষুধের দোকান খোলা রাখতে তৎপর হল প্রশাসন। সোমবার এ নিয়ে ময়নাগুড়ি পুরসভায় বৈঠক হয়। উপস্থিত ছিলেন জলপাইগুড়ি সদরের এসডিও তমজিৎ চক্রবর্তী, ময়নাগুড়ির বিডিও প্রসেনজিৎ কুণ্ডু, পুরসভার চেয়ারম্যান অনন্তদেব অধিকারী, ভাইস চেয়ারম্যান মনোজ রায় সহ বেঙ্গল কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের ময়নাগুড়ি জোনের সদস্যরা। ওষুধ ব্যবসায়ীরাও এসেছিলেন। রাতে কোন ওষুধের দোকান খোলা থাকবে সেনিয়ে তালিকা তৈরি করবেন ব্যবসায়ীরা। আজ, বুধবার বিসিডিএ’র সদস্যরা বৈঠকে বসবেন বলে জানিয়েছেন। সব ঠিকঠাক থাকলে মার্চ মাস থেকে এই পরিষেবা ময়নাগুড়িতে শুরু হয়ে যাবে।
ময়নাগুড়িতে রাতে ওষুধের দোকান খোলা থাকে না। হাসপাতালে ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান সর্বক্ষণ খোলা থাকলেও সেখানে সমস্ত ধরনের ওষুধ পাওয়া যায় না। রাতে ওষুধ না পাওয়ার অনেক সময় ছুটতে হয় জলপাইগুড়ি। ময়নাগুড়ি নাগরিক চেতনার সম্পাদক অপু রাউত বলেন, রাতে ওষুধের দোকান খোলা রাখার দাবি বহুদিনের। প্রশাসন উদ্যোগ নেওয়ায় সাধুবাদ জানাই। সুভাষনগর হাইস্কুলের শিক্ষক আনন্দ দাম বলেন, যেকোনও মানুষের যেকোনও সময় ওষুধের প্রয়োজন। রাতে অন্তত একটা ওষুধের দোকান খোলা থাকলে সুবিধা হবে।
এসডিও বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ রয়েছে রাতে হোক কিংবা দিনে, কোনও মানুষের যেন চিকিৎসা এবং ওষুধের ক্ষেত্রে সমস্যা না হয়। ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকানে সরকার নির্দিষ্ট সমস্ত ওষুধ যেন পাওয়া যায় সেটা নিশ্চিত করতে হবে বলে তাদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিসিডিএ সহ ওষুধ ব্যবসায়ীদের একটি রোস্টার বানাতে বলেছি। দু’টি দোকান চিহ্নিত করতে বলা হয়েছে।
বিসিডিএ’র জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক প্রদ্যুৎ সাহা বলেন, রোটেশন করে যাতে রাতে দোকান খোলা রাখা যায়, সেনিয়ে আমরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করব। প্রশাসনকে জানিয়েছি, নিরাপত্তার বিষয়টি যেন তারা দেখে।
উল্লেখ্য, ময়নাগুড়ি শহর ও গ্রামাঞ্চল মিলিয়ে প্রায় ৫০টি ওষুধের দোকান আছে। মূলত সকাল ৭টার পর থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত দোকানগুলি খোলা থাকে।