ক্যাম্পাসেই মেকানাইজড লন্ড্রি, তবু রোজ বদল হয় না বেডশিট
বর্তমান | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
সংবাদদাতা, শিলিগুড়ি: সরকারি নির্দেশিকা মেনে প্রতিদিন রোগীর বিছানার চাদর পরিবর্তনের কথা। কিন্তু অভিযোগ, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তা মানা হচ্ছে না। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালে স্বাস্থ্যদপ্তরের এই নির্দেশিকা জারি করেছিল। তাতে উল্লেখ রয়েছে, সপ্তাহে কোন দিন কোন রঙের চাদর বেডে দিতে হবে। কিন্তু মেডিক্যালে একদিনের জন্যও সেই নির্দেশিকা না মানার অভিযোগ উঠেছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিদিন ১০০০-১২০০ বেডে রোগী থাকে। সেখানে মেকানাইজড লন্ড্রিতে কোনও দিন ২০০ কোনও দিন ৫০০টি চাদর দেওয়া হয়। লন্ড্রির দায়িত্বে থাকা এক আধিকারিকের এই তথ্যে ধরা পড়ছে প্রতিদিন সব রোগীর বিছানার চাদর পরিবর্তন করা হয় না।
আর এই নিয়ম না মানায় রোগীদের সংক্রমণ সহ নানা ধরনের ঝুঁকির মধ্যে থাকতে হচ্ছে। চিকিৎসকদের একাংশ এই ঝুঁকির কথা মেনে নিয়েছেন। তাঁদের কথায়, প্রসূতি ও শল্য বিভাগে সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি থাকে।
উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল ক্যাম্পাসের মধ্যেই মেকানাইজড লন্ড্রি বসেছে। উত্তরবঙ্গের অন্যান্য সরকারি হাসপাতালেরও বিছানার চাদর, কাপড় ধোয়া হয় এখানে। হাতের কাছে মেকানাইজড লন্ড্রি থাকার পরও রোগীর বিছানার চাদর প্রতিদিন কেন পাল্টানো হচ্ছে না, এ ব্যাপারে সরকারি নির্দেশ কেন উপেক্ষা করা হচ্ছে সেনিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
হাসপাতলে প্রতিদিন চালু বেডের সংখ্যার অর্ধেকেরও কম চাদর মেকানাইজড লন্ড্রিতে যাওয়ায় গাফিলতির দিকটি প্রকাশ্যে চলে এসেছে। হাসপাতাল সুপারও অস্বীকার করেননি। সুপার ডাঃ সঞ্জয় মল্লিক বলেন, সাতদিন সাত রঙের বেডশিট পাতা নির্দেশিকার অন্যতম কারণ হল যাতে প্রতিদিন চাদর পরিবর্তন হয়। রং দেখেই বোঝা যাবে সেইদিন চাদর পাল্টানো হয়েছে কি না। আমাদের সাত রঙের চাদর না থাকলেও প্রতিদিন চাদর পাল্টানোর জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। মেকানাইজড লন্ড্রি কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছিল তাদের কর্মীরা সরাসরি রোগীদের কাছ থেকে বিছানার চাদর নিয়ে ধুয়ে ফের চাদর রোগীদের হাতে তুলে দেবেন। কিন্তু তারা জানিয়েছে, কর্মীর অভাব থাকায় এই কাজ করতে পারছে না। তাই প্রতিদিন সব বিছানার চাদর পরিবর্তন হয় না। সমস্যা কাটিয়ে ওঠার জন্য বিকল্প কী ব্যবস্থা হতে পারে তা খতিয়ে দেখা হবে।