• পর্যটকদের সঙ্গে হাতির সখ্যতা বৃদ্ধিতে উদ্যোগ, এলিফ্যান্ট ট্যুরিজম হাবের কাজ শুরু
    বর্তমান | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: ধূপঝোরায় এলিফ্যান্ট ট্যুরিজম হাব তৈরির কাজ শুরু করল বনদপ্তর। পর্যটকদের সঙ্গে হাতির সখ্যতা বাড়াতে এই নয়া উদ্যোগ। পিলখানায় কুনকিদের খুনসুটি থেকে রূপটান, হাতির স্বভাব, খাওয়াদাওয়া, মানুষের প্রতি তাদের ভালোবাসা সবটাই তুলে ধরা হবে পর্যটকদের সামনে। সেইসঙ্গে হাতির সঙ্গে সেলফি থেকে নদীতে হাতির স্নান দেখার ব্যবস্থাও থাকবে। 


    গোরুমারা বন্যপ্রাণ বিভাগের ডিএফও দ্বিজপ্রতিম সেন বলেন, ধূপঝোরাকে কেন্দ্র করে এলিফ্যান্ট ট্যুরিজম হাব তৈরির চেষ্টা চলছে। সেই লক্ষ্যে কাজও শুরু হয়েছে। শুধুমাত্র বনবাংলো বুকিং কিংবা এলিফ্যান্ট রাইড থেকে টাকা আয়, এটাই আমাদের আসল উদ্দেশ্য নয়। পর্যটকরা যাতে হাতিদের কাছাকাছি থেকে তাদের আরও ভালোভাবে জানতে পারেন সেটাই হবে মূল লক্ষ্য। হাতির সঙ্গে মানুষের আরও ভালোভাবে সখ্যতা গড়ে উঠুক, সেটাই চাইছি আমরা। এখানে হাতির আচরণ, খাওয়াদাওয়া, ভালোবাসা সবটাই চাক্ষুষ করতে পারবেন পর্যটকরা। 


    ধূপঝোরা এলিফ্যান্ট ক্যাম্পে বনদপ্তরের ছ’টি কটেজ আছে। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর গত ডিসেম্বর থেকে খুলে দেওয়া হয়েছে সেগুলি। পুরোপুরি পরিবেশবান্ধব হিসেবে গড়ে তুলতে ওই কটেজগুলিতে কোনও বিদ্যুতের ব্যবস্থা থাকছে না। অন্ধকার গাঢ় হলেই জ্বলে উঠবে সৌরবাতি। ওই কটেজে থেকে পর্যটকরা জঙ্গল, চা বাগানের পাশাপাশি মূর্তি নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন। ক্যাম্পাসেই পিলখানা। সেখানে দিনভর হাতিদের খুনসুটি চাক্ষুষ করতে পারবেন পর্যটকরা। ওখান থেকেই সুযোগ রয়েছে হাতি সাফারির। তাছাড়া নদীতে হাতিদের স্নান দেখতে পর্যটকদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করে দেওয়া হচ্ছে। নিরাপদ দূরত্বে তৈরি হচ্ছে সেলফি জোন। হাতির সঙ্গে সেলফি তুলতে পারবেন এখানে আসা পর্যটকরা। 


    ডিএফও বলেন, ধূপঝোরা এলিফ্যান্ট ক্যাম্পে প্রতিটি কটেজে সৌর আলোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এখানে আসা পর্যটকরা যাতে হাতি সম্পর্কে খুঁটিনাটি বিষয় জানতে পারেন, মাহুত ও পাতাওয়ালারা সে ব্যাপারে সাহায্য করবেন। পর্যটকরা যাতে মূর্তি নদীতে হাতির স্নান দেখতে পারেন, তারও ব্যবস্থা হচ্ছে। এজন্য বনবাংলো বুকিংয়ের সঙ্গেই নির্দিষ্ট ফি ধরে নেওয়া হবে। এছাড়াও ধূপঝোরা পিলখানায় পর্যটকদের জন্য একটি সেলফি পয়েন্ট তৈরি হচ্ছে। আমরা চাইছি, পর্যটকরা জঙ্গলে বেড়াতে এসে কয়েকটা দিন হাতিদের সঙ্গে কাটান। তাদের নানারকম অ্যাক্টিভিটি দেখুন। এতে বন্যপ্রাণের প্রতি নিবিড় ভালোবাসা তৈরি হবে পর্যটকদের। 


    এদিকে, দীর্ঘ প্রায় চার বছর বন্ধ থাকার পর চলতি মাসেই খুলে যাচ্ছে পানঝোরা ইকো কটেজ। ওখানে চারটি বনবাংলো রয়েছে। একদিকে পাহাড়ি মূর্তি নদী, অন্যদিকে পাহাড়। চাপড়ামারি জঙ্গল লাগোয়া এই বনবাংলোয় থেকে অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন পর্যটকরা। ডিএফও জানিয়েছেন, পানঝোরা থেকেই চাপড়ামারির জঙ্গলে কার সাফারি করতে পারবেন পর্যটকরা। ফরেস্ট ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের ওয়েবসাইট থেকে অনলাইনে বুকিং করতে হবে।
  • Link to this news (বর্তমান)