সংবাদদাতা, কুমারগ্রাম: হাতির হানায় গুরুতর জখম হলেন একবৃদ্ধ। সোমবার ঘটনাটি ঘটে কুমারগ্রাম ব্লকের সঙ্কোশ চা-বাগানের ২০ নম্বর সেকশনে। ঘটনায় বাগানজুড়ে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। বনদপ্তর জানিয়েছে, জখম বৃদ্ধের নাম লোকবাহাদুর ছেত্রী(৭০)। তিনি সঙ্কোশ চা-বাগানের নেপালি লাইনের বাসিন্দা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন বিকেল নাগাদ নেপালি লাইনের পাশে অবস্থিত চা বাগানের ২০ নম্বর সেকশনে লোকবাহাদুর ছেত্রী ছাগল চড়াতে যান। সেসময় একটি হাতি তাঁকে আক্রমণ করে বসে। হাতির আক্রমণে তিনি গুরুতর জখম হন। স্থানীয়রা লোকবাহাদুরকে উদ্ধার করে সঙ্কোশ চা-বাগান হাসপাতালে আনেন। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। এই ঘটনার খবর পেয়ে চা বাগান হাসপাতালে আসেন বনদপ্তরের কুমারগ্রাম রেঞ্জের ভারপ্রাপ্ত রেঞ্জ অফিসার প্রভাতকুমার বর্মন। তিনি বলেন, হাতির হানায় একজন জখম হয়েছেন। তাঁকে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। বনদপ্তর থেকে কী কী করা যায়, সেই বিষয়টি আমরা দেখছি। নিউল্যান্ডস-কুমারগ্রাম-সঙ্কোশ গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য অনিত প্রধান বলেন, সঙ্কোশ চা বাগানের ২০ নম্বর সেকশনে এই ঘটনা ঘটেছে। বাগানের পাশেই জঙ্গল। জঙ্গল থেকে হাতি এসে আচমকাই ওই বৃদ্ধকে আক্রমণ করে বসে।
অন্যদিকে, কুমারগ্রাম ব্লকের চ্যাংমারি পঞ্চায়েতে ফের হাতির হামলার ঘটনা ঘটল। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সুপারি বাগান, কলাবাগান ও সব্জি খেত। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটে চ্যাংমারি পঞ্চায়েতের খুট্টিমারি বনবস্তিতে। স্থানীয়রা জানান, রবিবার রাতে ঘোড়ামারা বিটের জঙ্গল থেকে তিনটি হাতি বের হয়। কয়েকঘণ্টা লোকালয়ে তাণ্ডব চালায় হাতিগুলি। এতে প্রায় একবিঘা জমির ২৫-৩০টি সুপারি গাছ, কলাগাছ, আলু খেত ও রসুন খেতের ক্ষতি হয়েছে। বনদপ্তর জানিয়েছে, নজরদারি আরও বাড়ানো হবে। যাঁদের ফসলের ক্ষতি হয়েছে তাঁরা ক্ষতিপূরণের জন্য আবেদনপত্র পূরণ করে জমা দিলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশমতো ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হবে।