নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: আলুর বন্ড ঘিরে অশান্তি এড়াতে সোমবার জরুরি বৈঠক করলেন জলপাইগুড়ির জেলাশাসক শমা পারভীন। জেলাশাসকের দপ্তরে ওই বৈঠকে ছিলেন জেলা পুলিস সুপার খণ্ডবাহলে উমেশ গণপত। বৈঠকে বিডিওদের পাশাপাশি ডাকা হয় হিমঘর মালিক, কৃষি ও কৃষি বিপণন দপ্তরের আধিকারিকদের।
বৈঠক শেষে জেলাশাসক বলেন, ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে জলপাইগুড়ি জেলায় আলুর বন্ড বিলি শুরু হবে। ৭ মার্চ পর্যন্ত চলবে। ১১ মার্চ থেকে আলু ঢোকা শুরু হবে হিমঘরে। আলুর বন্ড ঘিরে যাতে কোথাও কোনও ঝামেলা না হয়, সেদিকে বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে। হিমঘর চত্বরে ব্যবস্থা থাকছে পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরার।
এদিকে, আলুর লাভজনক সহায়ক মূল্য ঘোষণা এবং কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি আলু কেনার দাবিতে এদিন জেলাশাসকের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখায় সারা ভারত কিষান ও খেত মজদুর সংগঠন। জেলাশাসকের দপ্তরে স্মারকলিপিও দেয় তারা।
জেলার উপ কৃষি অধিকর্তা গোপালচন্দ্র সাহা বলেন, এবার জলপাইগুড়ি জেলায় ৩৪ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছিল। গতবার ৯ লক্ষ মেট্রিক টন আলু উৎপাদন হয়। এবার ৯ লক্ষ ৭৫ হাজার মেট্রিক টনের মতো আলু উৎপাদন হতে পারে। জেলায় ২৭টি হিমঘর রয়েছে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি কৃষকরা ৩৫ কুইন্টাল আলু মজুত রাখতে পারবেন হিমঘরে। বড় চাষিদের জন্য মাথাপিছু ৫০ কুইন্টাল আলু মজুত রাখার সুযোগ থাকছে। সেইমতো বন্ড ছাড়া হবে।
জেলাশাসক বলেন, ক্ষুদ্র চাষিদের জন্য হিমঘরের ৩০ শতাংশ জায়গা সংরক্ষিত রাখতে বলা হয়েছে। মঙ্গলবার থেকে প্রতিটি ব্লকে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে বৈঠক করবেন বিডিও। কিষান ক্রেডিট কার্ড, শস্য বিমা যোজনা দেখে কারা আলুর বন্ড পাবেন, তাঁদের চিহ্নিত করা হবে। সেইমতো ২৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নামের তালিকা হিমঘর কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।