• ১৫ দিনেও মুণ্ডর খোঁজ নেই,  জলিলকে নিয়ে আজ তল্লাশি
    বর্তমান | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: কেটে গিয়েছে একপক্ষ। কিন্তু তারপরেও দত্তপুকুরের নৃশংস খুনে মেলেনি কাটা মুণ্ড। এখনও ঘিরে রাখা হয়েছে ঘটনাস্থল। তার জেরে বিপাকে জমি মালিক। চিন্তিত এলাকার কৃষকরাও। কেননা, পুলিসের কারণে তাঁদের কাজের ক্ষেত্রেও লাগাম টানতে হচ্ছে। রাত পর্যন্ত জমিতে কাজ করা যাচ্ছে না। তাই, এলাকার মানুষ বলছেন, খুনের ঘটনার নিষ্পত্তি করতে কি পুলিসের কোনও সদিচ্ছা নেই?


    পুলিস সূত্রে খবর, মৃত হজরত লস্কর, ওবাইদুল গাজি ও জলিল গাজি দুষ্কৃতী।  কয়েক মাস আগে প্রায় ৪০০ গ্রাম সোনা চুরি করেছিল তারা। এটির ভাগাভাগি নিয়ে হজরত অন্যদের ঠকিয়েছে। এছাড়াও এই রাজ্যে চুরি করে বাংলাদেশে চলে যেত এই দুষ্কৃতীরা। হুগলির উত্তরপাড়ার একটি চুরির ঘটনায় এক সঙ্গীকে আইএমও কল করে ডেকে পুলিসকে ধরিয়ে দেয় হজরত। একটার পর একটা এই ধরনের ঘটনা ঘটতে থাকলে হজরতের বিপক্ষে চলে যায় অন্যরা। তাদের ধারণা হয়, হজরত পুলিসের সোর্স হিসাবে কাজ করছে। তাই, হজরতকে খুনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়। তবে, বয়ান অনুযায়ী ধৃত জলিলকে নিয়ে আজ, মঙ্গলবার বাজিতপুরে কাটা মুণ্ডর খোঁজ চালাবে দত্তপুকুর থানার পুলিস। পাশাপাশি নিহত যুবকের মোবাইল ফোনের খোঁজেও তল্লাশি করা হবে। তবে, এনিয়ে পুলিসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয়রা। 


    পুলিস তদন্তে জানতে পেরেছে, খুনের পর কাটা মুণ্ড নিয়ে জলিল ও তার স্ত্রী সুফিয়া ভাড়া বাড়ি পর্যন্ত এসেছিল। জেরায় হজরত খুনের কথা স্বীকারের পাশাপাশি কাটা মুণ্ড লুকিয়ে রেখেছে বলে স্বীকার করেছে জলিল। বয়ান অনুযায়ী মঙ্গলবার ধৃত জলিলকে নিয়ে ভাড়া বাগান বাড়িতে তল্লাশি চালানোর কথা। বাজিতপুরে আব্দুল হামিদের জমি থেকেই উদ্ধার হয়েছে হজরতের দেহ। তিনি বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক কবে হবে জানি না। জমির একটা অংশ ঘেরা রয়েছে, কাজ করতে পারছি না। অন্যান্য চাষীও তাঁদের কাজ নিয়ে চিন্তিত। এই প্রসঙ্গে পুলিস সুপার প্রতীক্ষা ঝাড়খড়িয়া বলেন, জলিলকে নিয়ে মঙ্গলবার কাটা মুণ্ডর খোঁজ করা হবে। পাশাপাশি নিহত যুবকের মোবাইলের খোঁজ হবে। খুনের আগে জলিল কথা বলেছিল হজরতের সঙ্গে। ফোন উদ্ধার করলে খুনের অনেক তথ্যই পুলিসের হাতে চলে আসবে। কাটা মুণ্ড মাটির নীচে লুকিয়ে রাখলেও নিহতের দাঁত ও চুল নষ্ট হবে না। ডিএনএ পরীক্ষা করা সম্ভব হবে।
  • Link to this news (বর্তমান)