নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: হাসপাতাল চত্বরে এক মহিলার সঙ্গে অস্থায়ী কর্মীদের তুমুল বচসা চলছিল। মহিলার পাশে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করায় ওই অস্থায়ী কর্মীদের হাতে আক্রান্ত হলেন সুজিত হাজরা নামে এক ব্যক্তি। তাঁকে একটি অন্ধকার ঘরে নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার জেরে সোমবার সকালে উত্তেজনা ছড়ায় হাবড়া হাসপাতালে। এরপরই কড়া হাতে পরিস্থিতি মোকাবিলা করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। অভিযুক্ত তিনকর্মীকে শো-কজ করার পাশাপাশি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উত্তর দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
হাবড়ার ফুলতলার বাসিন্দা সুজিত হাজরা। স্ত্রীকে নিয়ে সোমবার সকালে হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে এসেছিলেন রক্ত পরীক্ষা করাতে। প্রেসক্রিপশন হাতে নিয়ে সুজিত দাঁড়িয়ে ছিলেন লাইনে। কিছুটা দূরে তিনি দেখেন, হাসপাতালের তিন অস্থায়ী কর্মী গলায় আই কার্ড ঝুলিয়ে এক মহিলার সঙ্গে তুমুল তর্কাতর্কি করছেন। কাছে গিয়ে তিনি গোটা বিষয়টি শোনার পর প্রতিবাদ করেন। আর তাতেই মারমুখী হয়ে ওঠেন কর্মীরা। হাত ধরে সুজিতকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালের অন্ধকার ঘরে। আর সেখানে নিয়ে গিয়েই চলে এলোপাথাড়ি কিল, চর ও ঘুসি। মারের আঘাতে মুখ ফেটে গিয়েছে সুজিতের। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে কর্মীরাই সুজিতকে চিকিৎসা করান।
হাবড়া থানায় তিনজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন সুজিত। তিনি বলেন, মহিলাকে অস্থায়ী কর্মীরা বলছিলেন নার্সিংহোমে গিয়ে চিকিৎসা করাতে। কিন্তু মহিলা তাতে রাজি না হওয়ায় তর্কাতর্কি হয়। আমি চাই গোটা ঘটনার উপযুক্ত তদন্ত করে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করুক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাবড়া হাসপাতালের সুপার বিবেকানন্দ বিশ্বাস বলেন, বিষয়টি শুনেছি। তিন কর্মীকে শো-কজ করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উত্তর দিতে বলা হয়েছে। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। এদিকে হাবড়া থানার পুলিস জানিয়েছে, দু’জনের নামে অভিযোগ হয়েছে। তদন্ত চলছে। নিজস্ব চিত্র