সংবাদদাতা, উলুবেড়িয়া: ইট ভাটা মালিকদের নদী থেকে মাটি ও বালি তোলার অনুমতি দিল হাওড়া জেলা প্রশাসন। বাংলা আবাস যোজনায় বাড়ি তৈরির ক্ষেত্রে ইটের ঘাটতি যাতে না হয়, সেকারণেই এই নির্দেশ। সূত্রের খবর, সম্প্রতি জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে শ্যামপুরের ইট ভাটার মালিকরা মাটি ও বালির জোগান নিয়ে সমস্যার কথা জানান। এরপরেই জেলা প্রশাসন ইট ভাটার মালিকদের সরকারি রাজস্ব মিটিয়ে নদী থেকে বালি বা মাটি কাটার অনুমতি দেয়। তবে তাঁরা নিয়ম মেনে নদী থেকে মাটি ও বালি তুলবেন কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
সূত্রের খবর, কয়েকটি নির্দিষ্ট জায়গা থেকে বালি তোলা ও মাটি কাটার কথা বলা হয়েছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, বাংলা আবাস যোজনায় হাওড়া জেলায় এক লক্ষের উপর উপভোক্তা বাড়ি তৈরির টাকা পেয়েছেন। ফলে এই জেলায় ইটের চাহিদা ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। এই ইট তৈরির জন্য বালি ও মাটির প্রয়োজন। এতদিন হাওড়া জেলায় নদী থেকে বালি তোলার সরকারি অনুমতি ছিল না। ফলে লুকিয়ে চুরিয়ে বালি তুলতেন ভাটার মালিকরা। কখনও কখনও পুলিসের চোখ এড়াতে দূর থেকে বালি ও মাটি আনতে হতো। এতে উৎপাদন খরচ বেড়ে যেত। যার প্রভাব পড়ত বিক্রয়মূল্যে। ভাটার মালিকরা এই সমস্যার কথা জানালে গত ৩০ জানুয়ারি ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তর ও মহকুমা প্রশাসনের সঙ্গে তাঁদের বৈঠক হয়। সেখানেই প্রশাসনের কর্তারা সরকারি নিয়মের মেনে নদী থেকে বালি ও মাটি কাটার অনুমতি দেন। গাড়ি বা নৌকায় করে বালি পরিবহণের সময় প্রয়োজনীয় অনুমতিপত্র এবং কাগজপত্র রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ইট ভাটার মালিকদের। এ বিষয়ে উলুবেড়িয়ার মহকুমা শাসক মানসকুমার মণ্ডল বলেন, সরকারি নিয়ম মেনে এবং রাজস্ব জমা দিয়ে বালি তুলতে হবে। জেলা প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন উলুবেড়িয়া চেম্বার অব কর্মাসের সাধারণ সম্পাদক প্রবীর রায়। তিনি বলেন, প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের ফলে শ্যামপুরের ইট ভাটার মালিকদের দীর্ঘদিনের সমস্যার সমাধান হবে।