•   রবি চাষের জন্য দ্রুত জল ছাড়া  হবে, রাজ্যকে আশ্বাস ডিভিসির
    বর্তমান | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: বোরো চাষের জন্য ডিভিসি থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণ জল পাওয়া যাচ্ছে না। এই দাবিতে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভে নেমেছেন চাষিরা। সোমবার বিধানসভা অধিবেশনের উল্লেখ পর্বে এই প্রসঙ্গ উত্থাপিত হয়। কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানান, বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকার উদ্বিগ্ন। ইতিমধ্যে তিনি ডিভিসির চেয়ারম্যান এস সুরেশ কুমারের সঙ্গে কথাও বলেছেন। ডিভিসির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তাঁদের মাইথন ও পাঞ্চেত বাঁধে জলস্তর কম আছে। তবে চাষের জন্য জল ছাড়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে যোগাযোগ করা হলে ডিভিসির দায়িত্বপ্রাপ্ত চিফ ইঞ্জিনিয়ার সুমন সিং জানিয়েছেন, জল দেওয়া হবে। তবে দু’টি বাঁধে জলস্তর কতটা নেমে গিয়েছে সেটা তিনি জানাতে পারেননি। ডিভিসি সূত্রে দাবি করা হয়েছে, শীতকালে বৃষ্টি একেবারে না হওয়ার জন্য জলস্তর কমেছে। আগামী দিনে বৃষ্টি না হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। বোরো এবং রবি চাষ মূলত সেচের উপর নির্ভরশীল। পূর্ব বর্ধমান, হাওড়া, হুগলি, বাঁকু‌ড়া ঩জেলায় ডিভিসির বাঁধ থেকে ছাড়া জল সেচের বড় উৎস। কতটা জল তারা দেবে, সেটা ডিভিসি ও রাজ্য সরকারের মধ্যে আলোচনায় চূড়ান্ত হয়। সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেও পর্যাপ্ত জল পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ। 


    সোমবার বিধানসভায় পর্যটন দপ্তরের প্রশ্নোত্তর পর্বে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, বিধায়করা তাঁদের এলাকায় কোনও পর্যটন প্রকল্প করতে চাইলে তা সরাসরি জানাবেন বিভাগীয় মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনকে। তারপর সেটি দপ্তরের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট জেলাশাসকের কাছে যাবে পর্যালোচনার জন্য। পর্যটনমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘বিধায়করা তাঁদের প্রস্তাব প্রথমে জেলাশাসকের কাছে জমা দিন। সেখান থেকে প্রস্তাব দপ্তরের কাছে আসবে। এই প্রক্রিয়া কেন গ্রহণ করা হচ্ছে, তার ব্যাখা মন্ত্রী দিলেও স্পিকার তাতে একমত হননি। ইন্দ্রনীল সেন জানিয়েছেন, আগামী আর্থিক বছরে রাজ্যে ৭০টি পর্যটন প্রকল্প রূপায়ণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৩৮টি দক্ষিণবঙ্গে, উত্তরবঙ্গে ৩২টি। সম্প্রতি বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে ৫৬০০ কোটি টাকার পর্যটন প্রকল্পের ‘মউ’ হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে দেশি ও বিদেশি পর্যটকের সংখ্য বাড়ছে। পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, পুরসভাগুলির চিকিৎসা কেন্দ্রে চিকিৎসক, নার্সের শূন্যপদ পূরণে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে । সব মিলিয়ে শূন্যপদ প্রায় দেড় হাজার। 
  • Link to this news (বর্তমান)