এই সময়, আসানসোল: কান ঘেঁষে উতরে গিয়েছে রবিবারের আসানসোল স্টেশন। কোনওরকমে এড়ানো গিয়েছে বড় ধরনের বিপর্যয়। আজ মঙ্গলবার ১৮ ও আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার আরও দু’টি ট্রেন আসানসোল থেকে প্রয়াগের উদ্দেশে রওনা হবে। এখন ওই দুই দিন ভালোয় ভালোয় পার করতে চাইছেন রেলকর্তারা।
আর সেই লক্ষ্যেই আসানসোল স্টেশনে শুরু হয়েছে বাড়তি তৎপরতা। রবিবার আসানসোল স্টেশন পরিদর্শন করেছিলেন ডিআরএম চেতনানন্দ সিং। সোমবার স্টেশন ঘুরে দেখলেন ডিভিশনের এডিআরএম প্রবীণ কুমার প্রেম।
ভিড় সামলাতে ব্লু প্রিন্ট তৈরি করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মঙ্গলবার এই স্পেশাল ট্রেনটি সকাল সাড়ে ১১টায় আসানসোল থেকে ছাড়বে। ওই সময়ে যথেষ্ট গরম থাকবে। ফলে আমরা স্টেশনের বাইরে যাত্রীদের জন্য ছাউনির ব্যবস্থা করছি।’ তিনি জানান, স্টেশনে অনভিপ্রেত ভিড় এড়াতে ঢোকা–বেরনোর আলাদা ব্যবস্থা করা হচ্ছে। একসঙ্গে হুড়মুড় করে যাত্রীরা যাতে স্টেশনে ঢুকে পড়তে না পারেন তার জন্য বাইরে ব্যারিকেড করা হচ্ছে।
লাইন দিয়ে যাত্রীরা স্টেশনে ঢুকবেন জানিয়ে এডিআরএম বলেন, ‘ওই দু’টি স্পেশাল ছাড়াও চলতি সপ্তাহে তিন দিন সাপ্তাহিক ট্রেন চলবে। যার মধ্যে আসানসোল–আমেদাবাদ, আসানসোল–মুম্বই ও তারকনাথ এক্সপ্রেস রয়েছে যেগুলো সবই প্রয়াগরাজ হয়ে যাবে। আমরা আশা করছি, এতে আসানসোলের মানুষের কুম্ভে যেতে সুবিধা হবে।’
যাত্রীদের প্রতি এই রেলকর্তার বার্তা, ‘তাড়াহুড়ো করার কোনও দরকার নেই। সব ভক্তরাই যেতে পারবেন প্রয়াগরাজে। ট্রেনের ব্যবস্থা থাকবে।’ তিনি জানান, ওই পাঁচটি ট্রেন ছাড়াও আরও কয়েকটি বিশেষ ট্রেনের জন্য রেলের সদর দপ্তরে আবেদন করা হয়েছে।
এ দিকে, রানিগঞ্জে পিরের মেলা উপলক্ষে স্টেশনে স্টপ টাইম বাড়াল রেল। আগামী ১৯ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মেলা চলবে। ওই সময়ে প্রবল ভিড়ের কথা মাথায় রেখে আসানসোল রেল ডিভিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, রানিগঞ্জ স্টেশনে সমস্ত যাত্রী ট্রেন আপ ও ডাউনে দুই মিনিট করে দাঁড়াবে। ভিড় সামাল দিতে মোতায়েন করা হবে অতিরিক্ত নিরাপত্তাকর্মী। থাকছে পর্যাপ্ত পানীয় জলের ব্যবস্থাও।’