আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতির মামলায় চার্জ গঠনের ক্ষেত্রে হাইকোর্ট আলাদা করে কোনও নির্দেশ দেবে না। মঙ্গলবার এমনই পর্যবেক্ষণ শোনাল উচ্চ আদালত। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, সব পক্ষ নিম্ন আদালতে গিয়ে তাদের বক্তব্য জানাক। নিম্ন আদালত সন্তুষ্ট হয়ে যে পদক্ষেপ করবে, সেটাই হবে। হাইকোর্ট শুধু গোটা ঘটনায় নজর রাখবে। প্রয়োজন হলে হাইকোর্ট গাইড করার জন্য কোনও পরামর্শ দিতে পারে।
একই সঙ্গে বিচারপতি বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, এই মামলার তদন্তে প্রয়োজন হতে পারে এমন কোনও নথি যদি সিবিআই অভিযুক্তদের না দিতে চায়, তা হলে তাদের নিম্ন আদালতকে মার্ক করে তা জানিয়ে দিতে হবে। সাত দিনের মধ্যে যাবতীয় নথির কাটাছেঁড়া চূড়ান্ত করতে হবে।
এর আগের শুনানিতেই বিচারপতি বাগচী জানিয়েছিলেন, যাই হোক না কেনো, দ্রুত ট্রায়াল শুরু করতে হবে। এ দিনও একই কথা বলেন তিনি। নিম্ন আদালতকে নির্দিষ্ট দিনে বিচার শুরু করার কথা বলে আদালত। বিচার প্রক্রিয়া শুরু না হওয়া পর্যন্ত হাইকোর্ট এই মামলায় বেশি নজর রাখবে। ১৫ দিন পর পর রিপোর্ট নেওয়া হবে। তবে নিম্ন আদালতে ট্রায়াল শুরু হয়ে যাওয়ার পর হাইকোর্ট আর টানা এই বিষয়ে নজরদারির প্রয়োজন মনে করছে না। তখন প্রয়োজন মনে হলে বা কোনও পক্ষ আবেদন করলে, তা আদালত শুনবে।
প্রসঙ্গত, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ জানিয়েছিলেন, ৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আরজি কর দুর্নীতি মামলার চার্জ গঠন প্রক্রিয়া শুরুর চেষ্টা করতে হবে। সেই নির্দেশের রিভিউ বা মডিফিকেশনের শুনানি চেয়ে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিন অভিযুক্ত আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ, আশিস পাণ্ডে, সুমন হাজরা।
প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছিল, তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসেই আগের নির্দেশের পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন জানাতে। যদিও সেই আর্জিতে কাজ না হওয়ায়, হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি শুভেন্দু সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন তাঁরা। সেই বেঞ্চই এ দিন এই নির্দেশ দেয়।