জানা যায়, দীপঙ্কর বর্মনের সঙ্গে নিউ কোচবিহার এলাকার এক তরুণীর সামাজিক মতে বিবাহ সম্পন্ন হয়। তবে মেয়ের পরিবার আর্থিকভাবে সেভাবে সচল না থাকায় পরিবারের তরফে ছেলের বাড়িতেই তাঁদের বিবাহ সম্পন্ন হয়। বৌভাতের অনুষ্ঠান শেষে সকলে যে যাঁর মতো ঘুমিয়ে পড়েন। সকাল হতেই বাড়ির পেছনে একটি গাছে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় যুবকের। ওই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় তুফানগঞ্জ থানার পুলিশ। পরে সেখান থেকে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়। কী কারণে এ ধরনের আত্মঘাতীর ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে পরিবারের প্রত্যেকেই ধন্দে। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
মৃত দীপঙ্করের ভাই জানান, 'দীর্ঘ এক মাস আগে থেকে দেখাশোনার পর নিউ কোচবিহারের এক তরুণীর সঙ্গে সামাজিক মতেই বিয়ে হয় দাদার। গতকাল স্বাভাবিকভাবেই সবকিছু হওয়ার পর আমরা খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। সকালবেলায় প্রথমে উঠেই মা দেখেন দাদার দেহ গাছে ঝুলন্ত অবস্থায়। তারপর চিৎকার করতেই আমরা বেরিয়ে এসে দেখি বাড়ির পাশের একটি গাছে দাদা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন। পরে তুফানগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে কোচবিহার এমজেএন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য দেহ পাঠিয়েছে বলে জানা যায়।'
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, দীপঙ্কর এলাকায় যথেষ্টই মিশুকে প্রকৃতির ছেলে ছিলেন। তাঁর এই ঘটনা এলাকার কেউই মেনে নিতে পারছেন না।