সন্দেহ আগে থেকেই ছিল, সরকারি অ্যাম্বুলেন্স আটকে দরজা খুলতেই চোখ ছানাবড়া পুলিশের, কী উদ্ধার হল?...
আজকাল | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসনের এক শীর্ষ আধিকারিকের নামে নথিভুক্ত রয়েছে অ্যাম্বুলেন্স। পুলিশকে ফাঁকি দিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে বিপুল পরিমাণ গাঁজা পাচার করতে গিয়ে মঙ্গলবার দুপুর নাগাদ মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হলেন দুই ব্যক্তি। অ্যাম্বুলেন্স থেকে উদ্ধার হয়েছে ১৪০ কেজি উন্নত মানের গাঁজা। পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে দুই অভিযুক্তকে। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত দুই ব্যক্তির নাম আদিত্য দাস, অনুপ সূত্রধর। তাদের বাড়ি শিলিগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এলাকায়।
জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সুপার আনন্দ রায় জানান, ‘প্রাথমিক তদন্তে আমরা জানতে পেরেছি পুলিশের চোখকে ফাঁকি দেওয়ার জন্যই গাঁজা পাচারের জন্য অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার করা হচ্ছিল। এই চক্রের সঙ্গে আর কারা জড়িত, কোন জায়গা থেকে কোথায় এই গাঁজা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে’। সামশেরগঞ্জ থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল নাগাদ খবর আসে জলপাইগুড়ি থেকে একটি সরকারি অ্যাম্বুলেন্সে করে বিপুল পরিমাণ গাঁজা কলকাতার দিকে কোনও একটি গোপন ডেরায় পাচারের চেষ্টা চলছে। গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে পুলিশের একটি দল সামশেরগঞ্জ থানার চকসাপুর মোড় সংলগ্ন ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের ওপর জলপাইগুড়ির দিক থেকে আসা একটি অ্যাম্বুলেন্সকে আটকায়।
তল্লাশি চালাতেই উদ্ধার হয় বস্তার মধ্যে রাখা বিপুল পরিমাণ গাঁজা। জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার এক আধিকারিক জানান, ‘প্রাথমিক তদন্তে আমরা জানতে পেরেছি যে অ্যাম্বুলেন্সে গাঁজা পাচার করা হচ্ছিল তা জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসনের কোনও শীর্ষ আধিকারিকের নামে সেখানকার পরিবহন অফিসে নথিভুক্ত। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই অ্যাম্বুলেন্সটি স্থানীয় একটি ক্লাবকে দেওয়া হয়েছিল’। পুলিশ সূত্রে খবর, জলপাইগুড়ির স্থানীয় ক্লাব যে ব্যক্তিকে অ্যাম্বুলেন্স চালানোর জন্য নিযুক্ত করেছিলেন সেই ব্যক্তি এবং অন্য আর একজন মিলে কোচবিহার জেলার তুফানগঞ্জ থেকে বিপুল পরিমাণ গাঁজা সংগ্রহ করে। তারপর সেই গাঁজা নদিয়া জেলার রানাঘাটে পাচারের চেষ্টা চলছিল বলে জানা গিয়েছে।