• 'মহাকুম্ভের অপমান, ক্ষমা চান,' মমতার 'মৃত্যুকুম্ভ' মন্তব্য নিয়ে টার্গেট শুরু শুভেন্দুর
    আজ তক | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • মহাকুম্ভ নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য ঘিরে এবার সরব হলেন শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার বিধানসভার বাইরে বিজেপি বিধায়কদের ধর্নাস্থলে শুভেন্দু বলেন, 'বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মহাকুম্ভকে মৃত্যুকুম্ভ বলেছেন। প্রত্যাহার করুন, ক্ষমা চান। মহাকুম্ভকে মৃত্যুকুম্ভ বলতে পারেন না। ৪০ কোটি হিন্দু পুণ্যার্থী স্নান করেছেন...হিন্দু সমাজ, সন্ত সমাজকে বলছি প্রতিবাদ করুন।এটা হিন্দুদের উপর আঘাত, মহাকুম্ভের উপর আঘাত।' এরপরেই স্লোগান তুলে শুভেন্দু বলেন, 'মহাকুম্ভের অপমান মানছি না, সেম সেম মমতা।' ওই শব্দ প্রত্যাহারের দাবি জানান বিজেপি বিধায়করা। 

    প্রসঙ্গত, মহাকুম্ভে পদপিষ্টের ঘটনায় মৃত্যু নিয়ে সরগরম জাতীয় রাজনীতি। কুম্ভে একের পর এক বিপর্যয়ের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। সম্প্রতি নয়াদিল্লি স্টেশনে পদপিষ্টের ঘটনায় মৃত্যু এই পর্বে নয়া মাত্রা যোগ করেছে। এই প্রেক্ষাপটে এদিন বিধানসভায় মমতা বলেন, 'মহাকুম্ভ এখন মৃত্যুকুম্ভ হয়ে গিয়েছে। প্ল্যানিং না করার জন্য এত মৃত্যু হয়েছে।'


    বিধানসভার ভিতরে তখন বক্তৃতা করছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সেই সময় বিধানসভার বাইরে বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে মমতা সরকারের বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন বিরোধী দলনেতা। ২০২৬ সালে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে উৎখাতের ডাক দিলেন শুভেন্দু। স্লোগান তুললেন, একটাই আওয়াজ দফা এক দাবি এক, মমতার পদত্যাগ।' মমতাকে টার্গেট করে শুভেন্দু বললেন, 'আগামী কয়েকটা মাস আপনি আছেন।'

    মমতাকে আক্রমণ শুভেন্দুর

    মঙ্গলবার বিধানসভার বাইরে বিজেপি বিধায়কদের ধর্নাস্থলে মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেন বিরোধী দলনেতা। বলেছেন, 'আগামী কয়েকটা মাস আপনি আছেন, গোটা বাংলা জুড়ে একটাই আওয়াজ দফা এক দাবি এক, মমতার পদত্যাগ।' তিনি আরও বলেছেন, 'আপনি তোষণের রাজনীতি করছেন। তোষণের নামে হিন্দু ধর্মকে কার্যত ধ্বংসের পথে নিয়ে যাচ্ছেন...এই সরকার কর্মচারী বিরোধী সরকার, কর্মসংস্থান নেই। মুখ্যমন্ত্রী বাংলাকে শেষ করে দিয়েছেন।' শুভেন্দু বলেন, 'আপনাকে আমরা তাড়াবো। মহারাষ্ট্রে জিতেছি, দিল্লিতেও আমরা জিতেছি। ২০২৬ সাল বাংলার। বাংলা থেকে এঁদের তাড়াতে হবে। তৈরি হন।'

    বাম আমলে বিধানসভায় ভাঙচুরের ঘটনার প্রসঙ্গ তুলে শুভেন্দু বলেন, 'বিধানসভাকে কলুষিত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ২০০৬ সালের নভেম্বর বিধানসভায় সদস্য না হয়েও আসবাব ভেঙেছেন এই মুখ্যমন্ত্রী।' রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের বিভিন্ন 'বিতর্কিত' মন্তব্যের প্রসঙ্গ তুলেও মমতার সরকারকে নিশানা করেছেন শুভেন্দু। 

    বিধানসভায় সাসপেন্ড হওয়া প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেছেন, 'সুপরিকল্পিত ভাবে আমাদের ৩০ দিনের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে। মা সরস্বতীর অপমানের প্রতিবাদ করে সাসপেন্ড হয়েছি, আমাদের দুঃখ নেই।আমরা গর্বিত, কেউ ব্যথিত নই, কেউ হতাশ নই, কারণ আমরা সনাতনী।মা সরস্বতীর পুজো শুধু হিন্দুদের নয়, সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উৎসবের মতো করে পালিত হয়...।' কলকাতার যোগেশচন্দ্র ল' কলেজে পুলিশি প্রহরায় সরস্বতী পুজো কেন হল, তা নিয়েও সরব হন শুভেন্দু। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা সাব্বির আলির বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হল না, তা নিয়েও সরব হন বিরোধী দলনেতা। 

    এদিন শুভেন্দু-সহ বিজেপি বিধায়কদের মাথায় ছিল গেরুয়া রঙের পাগড়ি। বিধানসভার বাইরে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান তোলেন তাঁরা। জয় শ্রীরাম ধ্বনিও দেন বিজেপি বিধায়করা। কাঁসর ঘণ্টা বাজাতেও দেখা যায় বিজেপি বিধায়কদের। 
     
  • Link to this news (আজ তক)