'আপনারা স্কুলটা রং করছেন না কেন?' হঠাত্ স্কুলে মমতা, গল্প করলেন অভিভাবকদের সঙ্গেও, VIDEO
আজ তক | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
বিধানসভায় যাওয়ার পথে হঠাত্ করেই কনভয় থামিয়ে ভবানীপুরের একটি স্কুলে চলে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভবানীপুরে ইউনাইটেড মিশনারিজ গার্লস হাইস্কুলে তখন চলছে মাধ্যমিক পরীক্ষা। স্কুলের বাইরে অপেক্ষা করছিলেন অভিভাবকরা। মমতা অভিভাবকদের জিগ্গেস করলেন, 'পরীক্ষা সবার কেমন হয়েছে? জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা।' সামনে সাক্ষাত্ মুখ্যমন্ত্রীকে দেখে তখন আপ্লুত অভিভাবকরা। ওই স্কুলের রং করার জন্য রাজ্য সরকার অর্থ সাহায্য করবে বলেও শিক্ষিকাদের জানালেন মমতা।
মুখ্যমন্ত্রী চলে যান ভবানীপুরে ইউনাইটেড মিশনারিজ গার্লস হাইস্কুলে
আজ অর্থাত্ মঙ্গলবার সকালে বিধানসভা যাওয়ার পথে মুখ্যমন্ত্রী চলে যান ভবানীপুরে ইউনাইটেড মিশনারিজ গার্লস হাইস্কুলে। ওই স্কুলে ৫টি স্কুলের সিট পড়েছে মাধ্যমিকের। অভিভাবকদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে বেশ কিছুক্ষণ কথা বললেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বললেন, 'এখন তো অনেক সুযোগ হয়ে গিয়েছে নম্বর তোলার। আমাদের সময় তো নম্বরই দিত না। এখন তো ৮০, ৯০ গড়ে করে দেওয়া হয়েছে, যাতে হায়ার স্টাডিতে সব জায়গায় চান্স পায় ছেলেমেয়েরা। সিবিএসই, আইসিএসই বেশি নম্বর দিয়ে দেয়। এবার আমাদের ছেলেমেয়েরা যদি বেশি নম্বর না পায়, তাহলে তারা ন্যাশনাল কম্পিটিশনে কী করে যাবে? সেই জন্যই এটা করা হয়েছে। আমার অনেক শুভেচ্ছা রইল।'
মমতার প্রশ্ন, 'আপনার মনটা খারাপ খারাপ কেন?'
এক অভিভাবক মহিলাকে দেখে মমতার প্রশ্ন, 'আপনার মনটা খারাপ খারাপ কেন?' ওই স্কুলে একসঙ্গে ৫টি স্কুলের সিট পড়েছে শুনে মমতা বললেন, ' আগে একটা ইস্কুলের সিট পড়ত এক জায়গায়। এখন পাঁচটা স্কুলের এক জায়গায় সিট পড়ছে। আমি সব সময় বলি, প্রশ্নপত্র কঠিন করো না। আমার ভাইজি এই স্কুলে পড়েছে।'
'আপনারা স্কুলটা রং করছেন না কেন?'
এরপর মমতা কথা বললেন স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গে। প্রধান শিক্ষিকাকে মুখ্যমন্ত্রী বললেন, 'আপনারা স্কুলটা রং করছেন না কেন? আপনারা যখন ভাল করে রং করবেন, কী এস্টিমেট আছে, আমাকে দেবেন। আমার একটা বাড়ি আছে, ওখানে অফিসও আছে। ওখানে গিয়ে জমা দেবেন এস্টিমেট। অথবা শান্তনু এসে নিয়ে যাবে। ৭ দিন সময় দিলাম। আপনারা ৭ দিনের মধ্যে এস্টিমেট তৈরি করুন। স্কুল ভাল করে রং করুন।'