শিকল পরিয়ে বেআইনি অভিবাসীদের আমেরিকা থেকে ভারতে পাঠিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমনকী ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আমেরিকা সফরের মধ্যেও এই একই ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছে। মঙ্গলবার বিধানসভায় এ নিয়ে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রী, বিদেশমন্ত্রীর কাছে মমতার সরাসরি প্রশ্ন, ‘আপনারা কি পারতেন না সসম্মানে এই ভারতীয়দের ফ্লাইটে ফিরিয়ে আনতে? কেন হাতে-পায়ে ওরা শিকল পরিয়ে ফেরাল, কেন আপনারা চুপ থাকলেন?’
অবৈধ ভাবে যে ভারতীয়রা আমেরিকায় গিয়েছিলেন, হোয়াইট হাউজ়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প ফেরার পরই তাঁদের প্রত্যর্পণ শুরু হয়। অভিযোগ ওঠে, ভারতীয়দের হাতে-পায়ে শিকল পরিয়ে ফেরানো হচ্ছে। মমতা বলেন, ‘মনে রাখবেন, আমরা আছি বলে, অভ্যন্তরীণ সুরক্ষা ও সীমান্ত সুরক্ষার ক্ষেত্রে দেশের কোনও ব্যাপারে বাংলা প্রশ্ন তোলে না। আমিও তো প্রশ্ন করতে পারি, যারা এল, তাদের শিকল বেঁধে নিয়ে আসা হলো কেন? কী উত্তর আপনাদের? বলে দিচ্ছেন, ওটা ওদের প্রোটোকল।’
মমতার সংযোজন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যে দিন আমেরিকায় ছিলেন, সে দিনও অভিবাসী ভারতীয়দের এ ভাবেই ভারতে পাঠানো হয়েছে। মমতা বিধানসভা কক্ষ থেকে প্রশ্ন ছোড়েন, ‘আপনি কি একবারও প্রতিবাদ করেছিলেন?’ মমতা মনে করিয়ে দেন, এখনও যে বেআইনি অভিবাসীদের এ ভাবে প্রত্যপর্ণ হয়েছে, কেউ বাংলার লোক নন। মহারাষ্ট্র, পঞ্জাব কিংবা গুজরাটের লোক।
তবু মুখ্যমন্ত্রী জানতে চান, কেউ যদি ভুল করে গিয়েও থাকে, কেন মোদী, জয়শঙ্কররা ফ্লাইট পাঠালেন না ভারতীয়দের আনতে? মমতার কথায়, ‘আপনারা দায়িত্ব নিলে সম্মানের সঙ্গে তাঁরা ফিরে আসতে পারতেন। পায়ে, হাতে শিকল বেঁধে ৪০ ঘণ্টা ঘুরিয়ে এ ভাবে ফিরতে হতো না। আমরা বলিনি, আজ বলছি। কারণ বাধ্য করছেন। না বলার পরও আমাকে বলছেন, আমার জঙ্গিদের সঙ্গে যোগাযোগ আছে। আমার তো এর থেকে মৃত্যু হওয়া ভালো।’
প্রসঙ্গত, এ দিন অধিবেশন কক্ষেই মমতা বলেন, ‘শুভেন্দু অধিকারী তাঁর সঙ্গে জঙ্গিদের যোগাযোগের অভিযোগ তুলেছেন। এ নিয়ে তিনি শুভেন্দুর বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখবেন বলেও জানান।’