• ‘আমাকে শুনতে হবে জঙ্গিদের সঙ্গে সম্পর্ক?’, নালিশ ঠুকে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখছেন মমতা
    এই সময় | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • গত কয়েক দিনে যতবারই জঙ্গি সন্দেহে কাউকে এসটিএফ গ্রেপ্তার করেছে, বিরোধী দলনেতা ততবারই চাঁচাছোলা ভাষায় নিশানা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে। মঙ্গলবারও শুভেন্দুকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘জঙ্গির চাষ হচ্ছে এখানে।’ এ নিয়ে বিধানসভায় দাঁড়িয়ে শুধু বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে তোপই নয়, এর প্রতিবাদে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখবেন বলেও জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

    মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এত লড়াইয়ের পরও আমাকে এখন শুনতে হবে, জম্মু-কাশ্মীরের জঙ্গিদের সঙ্গে আমার সম্পর্ক? বাংলাদেশের জঙ্গিদের সঙ্গে আমার সম্পর্ক? স্পিকার স্যর, আমি বাংলার মানুষকে বলব, যদি প্রমাণ করতে পারেন, একদিনে মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছেড়ে দিয়ে চলে যাব। আপনি বিরোধী দলনেতা হিসাবে যে অভিযোগ এনেছেন, আমি প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে জানতে চাইব, এ কথা আপনি বলতে পারেন কি না। আর যদি আমি টেররিস্ট হই, প্রধানমন্ত্রী আমাকে জানাবেন।’

    এ দিন অধিবেশন কক্ষে দাঁড়িয়ে মমতা প্রশ্ন তোলেন, সর্বধর্মের সমন্বয়ের কথা বলা কি অন্যায়? একই সঙ্গে জানান, ‘হিন্দু-বৌদ্ধ-শিখ-জৈন-পারসিক-মুসলমান-খ্রিস্টানি’, সকলকে সমান চোখে দেখার জন্য তাঁকে এত কথা শুনতে হয়। কিন্তু রাজ্যে তৃণমূল আছে বলে বাংলাদেশে এত কিছু ঘটার পরও তার আঁচ বাংলায় পড়েনি। মমতার কথায়, ‘এটা সর্বধর্মের, সর্ব বর্ণের মানুষের দান।’

    বাংলাদেশের অশান্তি যখন সপ্তমে, সেই সময় বনগাঁয় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন হয়েছিল। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী নিজে গিয়েছিলেন সেখানে। সীমান্ত নির্ভর ব্যবসা স্তব্ধ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। মমতা বলেন, ‘বাংলার বর্ডারে গিয়ে উস্কে ছিলেন আপনারা। ভুলে গিয়েছিলেন বাংলা ভারতের মধ্যে।’

    একই সঙ্গে মমতা অভিযোগ করেন, তাঁকে বলা হয়, তিনি মুসলিম লিগ করেন। এ দিন পরিসংখ্যান তুলে ধরে মমতা বলেন, ‘বাংলায় ৩০ থেকে ৩৩ শতাংশ সংখ্যালঘু থাকেন। তাঁরা খাদ্য কিংবা শিক্ষা পাবেন না?’

  • Link to this news (এই সময়)