মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনার কবলে ২ পরীক্ষার্থী। একজন গুরুতর জখম অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। আর অন্যজন প্রাথমিক চিকিৎসার পরে পরীক্ষা দিতে পেরেছে। মঙ্গলবার পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের ঘটনা।
এ দিন সকাল ১০টা নাগাদ মোটরবাইকে চেপে পরীক্ষা দিতে যাচ্ছিল ওই দুই পরীক্ষার্থী। ঘাটালের মনোহরপুকুর সংলগ্ন এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রের খবর, দ্রুতগতির বাইক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনা ঘটায়। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে বাড়ির লোকই প্রথম আসেন, তাঁরাই ঘাটাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। দুই পরীক্ষার্থীই ঘাটালের চৌকান নেতাজি বিদ্যাপীঠের ছাত্র। তাদের পরীক্ষাকেন্দ্র ছিল মনোহরপুর শ্রী রামকৃষ্ণ হাই স্কুলে। চৌকান থেকে মনোহরপুর যাওয়ার পথে রাস্তায় ঘটে এই দুর্ঘটনা। কারও হেলমেট ছিল না, নাবালক হওয়ায় লাইসেন্সও ছিল না।
শেখ নাবিদুল হাসান নামে এক ছাত্র গুরুতর জখম হয়েছে। সে এতটাই জখম হয়েছে যে এ দিন মাধ্যমিকের ভূগোল পরীক্ষা দিতে পারেনি। ঘাটাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ওই ছাত্র চিকিৎসাধীন রয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ছাত্রের মুখে ও হাতে আঘাত রয়েছে। ঘটনার পরে সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলেছিল সে, পরে তার জ্ঞান ফিরেছে। অন্য ছাত্রের নাম শেখ রাকিবুল হোসেন। তার আঘাত তেমন গুরুতর নয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পরে পরীক্ষাকেন্দ্রে গিয়ে ওই ছাত্র পরীক্ষা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের জেলা মনিটরিং কমিটির আহ্বায়ক সুভাষ হাজরা। তিনি বলেন, ‘খুবই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। এক ছাত্র জ্ঞান হারিয়ে ফেলায় পরীক্ষা দিতে পারল না।’ জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকারিক সৌম্যশঙ্কর ষড়ঙ্গী বলেন, ‘ওই ছাত্রের শারীরিক অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল বলে জানতে পেরেছি। চিকিৎসকেরা পর্যবেক্ষণের মধ্যে রেখেছেন।’
যে দুইজন মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে তারা নাবালক। ১৮ বছরের নীচে বয়স হওয়া সত্ত্বেও তাদের হাতে বাইক থাকায় ক্ষুব্ধ পর্ষদের মনিটরিং কমিটি। বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার।