• দরজা খুলতেই স্ত্রীকে... কোন কাণ্ডের জন্য স্বামীকে যাবজ্জীবনের সাজা আদালতের?
    এই সময় | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • সম্পর্কের টানাপড়েন বহুদিন ধরেই ছিল। ডিভোর্সের মামলাও চলছিল, ২ কন্যাসন্তানের দায়িত্ব নিয়েও টানাপড়েন ছিল। এমন পরিস্থিতিতেই এক মেয়েকে ফেরত দেওয়ার নাম করে এসে গুলি করে স্ত্রী সুজাতা বিশ্বাসকে খুন করে ত্রিশূল বিশ্বাস। ওই ঘটনায় জামাইয়ের নামে মামলা করেছিলেন নিহত মহিলার মা। ২০২২ সালে নদিয়ার হাঁসখালি থানা এলাকায় ঘটেছিল সেই ঘটনা। তার ২ বছরের মধ্যে অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজাঘোষণা করল রানাঘাট ফাস্টট্র্যাক কোর্ট। মঙ্গলবার, স্ত্রীকে খুনের ঘটনায় স্বামী ত্রিশূল বিশ্বাসকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

    সরকারি আইনজীবী অপূর্ব কুমার ভদ্র জানান, হাঁসখালি থানা এলাকার বাসিন্দা ত্রিশূল বিশ্বাসের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল সুজাতা বিশ্বাসের। এই দম্পতির মধ্যে বিয়ের পর থেকে নানা ঝামেলা হতে থাকে। পরে ত্রিশূল সুজাতাকে ছেড়ে অন্য একজনকে বিয়ে করে। তা নিয়ে ২ জনের মধ্যে সমস্যা গড়িয়েছিল বিবাহের বিচ্ছেদের মামলাতেও। সেই সময় কৈখালি বটতলা এলাকায় বাবার বাড়িতে থাকতেন সুজাতা।

    সরকারি আইনজীবী জানান, ত্রিশূল ও সুজাতার ২ কন্যা সন্তান রয়েছে। তাদের আটকে রেখেছিল ত্রিশূল। তা নিয়েও বিস্তর ঝামেলা হচ্ছিল। এই পরিস্থিতিতে ছোট মেয়েকে ফেরত দেওয়ার কথা বলে ত্রিশূল। সেই কথা মতো ২০২২ সালের ১৪ জুলাই বাবার বাড়িতে আসে ত্রিশূল, কিন্তু সঙ্গে মেয়ে ছিল না। সুজাতা বাড়ির বাইরে আসতেই তাকে গুলি করে ত্রিশূল পালায় বলে অভিযোগ। পালানোর সময় বাইক থেকে পড়েও যায় ত্রিশূল। যেদিন এই ঘটনা ঘটে, তার পরেরদিনই ডিভোর্সের মামলার তারিখ ছিল বলে জানা গিয়েছে। ওই ঘটনার পরে পুলিশের কাছে জামাই ত্রিশূল বিশ্বাসের নামে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন সুজাতার মা। তদন্তে নেমে ত্রিশূলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এই মামলার আইও ছিলেন বাপ্পাদিত্য মণ্ডল। টানা বিচারপ্রক্রিয়ার শেষে সোমবার অভিযুক্তকে দোষী সাবস্ত্য করে আদালত। মঙ্গলবার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনান রানাঘাট ফাস্টট্র্যাক এডিজে কোর্টের বিচারক মনোদীপ দাশগুপ্ত। সরকারি আইনজীবী জানান, ১১ জনের সাক্ষীগ্রহণ করা হয়েছে এই মামলায়।

  • Link to this news (এই সময়)