জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: এই নিয়ে তিন বছর পর পর। বাংলাতেই আছে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক প্রজাতির পাখি! ৩৭টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল নিয়ে করা গ্রেট ব্যাকইয়ার্ড বার্ড কাউন্ট (জিবিবিসি)-এর রেজাল্টে সম্প্রতি এই তথ্য জানা গেল। গ্রেট ব্যাকইয়ার্ড বার্ড কাউন্টকে বলা হয় বিশ্বের ওয়ান অফ দ্য লার্জেস্ট বার্ডিং ইভেন্ট।
১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে হয়ে গেল এই বার্ড কাউন্ট ইভেন্ট, যেখানে গোটা ভারত থেকে ১০৬৮টি পাখির প্রজাতি রেকর্ড হয়েছে। যার মধ্যে শীর্ষে বাংলা। পশ্চিমবঙ্গ থেকে মিলেছে ৫৪৩টি প্রজাতির পাখির খোঁজ! পশ্চিমবঙ্গের শুধু দার্জিলিং থেকেই মিলেছে ২৫২টি প্রজাতির পাখির খোঁজ। জিবিবিসি-র এই তালিকায় ৪৪৬টি প্রজাতির পাখি নিয়ে বাংলার পরেই আছে উত্তরাখণ্ড। এর পরে যথাক্রমে অসম-- ৪১৪টি, কর্ণাটক-- ৩৮০টি, মহারাষ্ট্র-- ৪১৪টি, কেরালা-- ৩৪২টি।
আগের সমীক্ষায় দেশে পাখির সংখ্যা পাওয়া গিয়েছিল ১০৩৬টি। সেটা বেড়ে এ বছর হয়েছে ১০৬৮টি! প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালেও বাংলার সংখ্যাটি ছিল ৫৪৩-ই। তবে গত বছরের তুলনায় এবার কাজের পরিধি একটু সীমায়িত ছিল। কেননা, এই কাজে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যাটা এ বছর বেশ কিছুটা কম ছিল। বার্ডওয়াচার্স সোসাইটি-র তরফে শান্তনু মান্না বলেছেন, মাধ্যমিকের আবহে এবারে বেশি অংশগ্রহণকারী পাওয়া যায়নি। এঁদেরকে তিনি 'বার্ডার' বলে উল্লেখ করেছেন। শান্তনু মান্না বলেছেন এবারে 'বার্ডার' বেশি পাওয়া যায়নি, ফলে খুব বেশি এক্সপ্লোর করা যায়নি!
গত সমীক্ষায় দার্জিলিংয়ে রেকর্ড হয়েছিল ৩০৮টি প্রজাতির পাখি। এবার সেটা নেমে দাঁড়িয়েছে ২৫২। তবে সেই সংখ্যাটিও বাংলার শীর্ষে। তবে চেকলিস্টে এন্ট্রির নিরিখে শীর্ষে দার্জিলিং নয়, দক্ষিণ ২৪ পরগনা। সেখানে মোট ৫১৩টি প্রজাতির এন্ট্রি মিলেছে। এই ধরনের কাজ প্রথম শুরু হয়েছিল ২০১৩ সালে। সেবার ২০০ জন অংশ নিয়েছিলেন। আর এবার মোট ৫৩০০ জন অংশ নিয়েছিলেন। বাংলা থেকে অংশ নিয়েছিলেন ৩৪৪ জন।