বেকার যুবক-যুবতীদের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করাই লক্ষ্য রাজ্য সরকারের। রাজ্যের যুবক-যুবতীদের জন্য কাজের ব্যবস্থা করার কথা একাধিকবার বলেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য বাজেটেও কর্মসংস্থানের উল্লেখ করা হয়েছে। আর এই বেকার যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্য নিয়েই, বুধবার, মেদিনীপুরে অনুষ্ঠিত হল ‘জব ফেয়ার’। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত এই মেলায় পশ্চিম মেদিনীপুরের ৬ হাজার যুবক-যুবতীকে চাকরি দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। তাঁদের জন্য কাজের ব্যবস্থা করে দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থাতে।
বুধবার, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ‘জব ফেয়ার’ অনুষ্ঠিত হয় মেদিনীপুরের আবাস এলাকায় গভর্মেন্ট পলিটেকনিক কলেজে। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ‘উৎকর্ষ বাংলা’ প্রকল্পের মাধ্যমে এই জেলার যারা ইতিমধ্যেই পোর্টালে নাম নথিভুক্ত করেছেন তাঁদের কাজের সুযোগ এবং ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্যই এই মেলা। সেখানে খড়্গপুরের বিধায়ক তথা মেদিনীপুর খড়্গপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান দীনেন রায়, অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) কেম্পা হোন্নাইয়া-সহ প্রশাসনের আধিকারিকরা ছিলেন। সেখানে ছিলেন বিভিন্ন কোম্পানির আধিকারিকরাও।
প্রশাসনের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, পলিটেকনিক, আইটিআই, উচ্চ মাধ্যমিক ভোকেশনাল, উৎকর্ষ বাংলায় ট্রেনিং নেওয়া যুবক-যুবতী, ভোকেশনাল ট্রেনিং সেন্টারের সার্টিফায়েড প্রার্থীরা এই জব ফেয়ারে অংশ নিতে পেরেছেন। এই জব ফেয়ারে অংশ নিয়েছিল ১৮টি কোম্পানি। বুধবার সেখানেই শতাধিক যুবক-যুবতীর হাতে অফার লেটার তুলে দেওয়া হয়।
অতিরিক্ত জেলাশাসক বলেন, ‘আমাদের প্রধান লক্ষ্য জেলায় কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করা। আমাদের জেলায় অনেক প্রতিভাবান যুবক-যুবতী আছেন। তাঁদের বড় বড় কোম্পানিতে গিয়ে কাজ করার দক্ষতা রয়েছে। এই যুবক-যুবতীদের হাতে চাকরির অফার লেটার তুলে দিতে পেরে ভালো লাগছে।’ দীনেন রায়ের দাবি, ‘রাজ্য সরকারের 'উৎকর্ষ বাংলা'র মাধ্যমে কাজ পাওয়া যাওয়ায় যুবকদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বাড়ছে। এই প্রকল্প এবং কাজের সুযোগ অন্যদেরকেও নতুন দিশা দেখাচ্ছে।’
এ দিন যারা চাকরির অফার লেটার হাতে পেয়েছেন তাঁরা খুব খুশি এবং উচ্ছ্বসিত।