ধান কেনার কাজে কয়েক ঘণ্টা দেরি গোঘাটে বিক্ষোভ চাষিদের
বর্তমান | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, আরামবাগ: নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই চাষিরা পৌঁছে গিয়েছিলেন ধান বিক্রি করতে। কিন্তু, ধান কেনার কাজে কয়েক ঘণ্টা দেরি হয়। চাষিরা ভোগান্তির মধ্যে পড়েন। তার জেরে গোঘাটের ভিকদাসের কর্মতীর্থে সরকারি ধান ক্রয় কেন্দ্রে বিক্ষোভ দেখালেন চাষিরা। তাঁদের দাবি, ধান কেনার জন্য পারচেজ অফিসার এসেছিলেন। কিন্তু, মিলের লোকজন এসে না পৌঁছনোয় ধান কেনার কাজে দেরি হয়। দুপুর প্রায় ১২টা নাগাদ মিলের লোকজন এলে ধান কেনার কাজ শুরু হয়। চাষিদের অভিযোগ, ধান বিক্রিতে বাটা নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়। পরে তা নিয়ে সমঝোতা হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। ঘটনার খবর পেয়ে ধান ক্রয় কেন্দ্র পরিদর্শন করেন খাদ্যদপ্তরের আধিকারিকরা।
হুগলির জেলা খাদ্য নিয়ামক তরুণ মণ্ডল বলেন, গোঘাটে সাময়িক সমস্যা হয়েছিল। পরে চাষিদের কাছ থেকে ধান নেওয়া হয়েছে। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী অনলাইনে বুকিং করেই ধান বিক্রির তারিখ চাষিদের নিতে হবে।
গোঘাটের নবাসন গ্রামের চাষি সদানন্দ পাল বলেন, আমরা সকাল ৮টা নাগাদ ট্রাক্টরে করে ধান নিয়ে ভিকদাসের ক্রয় কেন্দ্রে গিয়েছিলাম। সময়মতো খাদ্যদপ্তরের অফিসাররাও এসেছিলেন। কিন্তু, মিলের লোকজন না আসায় দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়। অবশেষে প্রায় ১২টা নাগাদ মিলের লোকজন আসে। বাটা নিয়েও সমস্যা হয়। বিক্ষোভ দেখানো হলে তিন থেকে চার কেজি বাটা দিয়ে ধান বিক্রি করতে পেরেছি। কিন্তু, এজন্য এদিন প্রায় ৫০ জন চাষিকে ব্যাপক ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয়। এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হওয়াই ভালো। উত্তম গোপ, রামপদ পাল বলেন, সরকারিভাবে এদিন ধান কেনার জন্য আমাদের সময় দেওয়া হয়। সেই জন্য আমরা সকালেই ধান নিয়ে আসি। কিন্তু, ধান বিক্রি করা নিয়ে এখানে জটিলতা তৈরি হয়। বিগত দিনে যে পদ্ধতিতে নেওয়া হয়েছে, সেভাবেই আমাদের ধান নেওয়ার দাবি জানাই। আমরা শুকনো ধান নিয়ে আসি। কিন্তু, বাটা দেওয়া নিয়ে সমস্যা হয়।
চাষিদের একাংশের দাবি, আগে তাঁরা অনলাইনে তারিখ বুকিং করেছিলেন। কিন্তু, তা বাতিল করে এদিন ধান বিক্রি করতে আসার জন্য বলা হয়। সেইমতো এদিন প্রায় ৫০ জন চাষি ধান বিক্রি করতে এসেছিলেন। কিন্তু, তারপরেও তাঁদের ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয়। গোঘাটে ধান কেনা নিয়ে বিক্ষোভ চাষিদের। -নিজস্ব চিত্র